কলকাতায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা দশ হাজার। প্রতীকী ছবি।
‘টেট’ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে পরীক্ষা শুরুর চার ঘণ্টা আগে থেকেই অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী নামছে কলকাতার পথে। পরীক্ষা কেন্দ্রের সুরক্ষার পাশাপাশি যানশাসনের জন্যও থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। গোটা বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছেন লালবাজারের কর্তারা।
আজ, রবিবার রাজ্য জুড়ে প্রাথমিকের টেট। গোটা রাজ্যে প্রায় সাত লক্ষ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় বসবেন। কলকাতায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা দশ হাজার।
আজ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রাস্তায় নামবে অতিরিক্ত পুলিশ। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবেন অন্তত এক জন ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক। তাঁদের অধীনে থাকবেন একাধিক পুলিশকর্মী। এ ছাড়া, প্রতিটি কেন্দ্রে দু’জন করে সশস্ত্র পুলিশকর্মীও থাকবেন। পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে জমায়েত আটকাতে নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্র মিলিয়ে নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ও ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিকেরা। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির বাইরে একাধিক ক্যামেরা লাগাচ্ছে পুলিশ।
ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, শহরতলি থেকে অনেকে পরীক্ষা দিতে আসবেন। তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তা খেয়াল রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি গার্ডকে। শহরের বিভিন্ন প্রবেশপথে অতিরিক্ত পুলিশকর্মী থাকবেন। এ ছাড়া, বিভিন্ন রেল স্টেশন এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতেও বাড়তি পুলিশকর্মী রাখা হবে।
প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বিঘ্নে প্রশ্নপত্র পৌঁছে দেওয়াটাও অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখছেন পুলিশকর্তারা। প্রশ্নপত্র পৌঁছে দেওয়া এবং পরীক্ষা শেষে উত্তরপত্র নিয়ে আসা, গোটা প্রক্রিয়াটাই সশস্ত্র পুলিশকর্মীদের উপস্থিতিতে হবে। যুগ্ম কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিংহ সরকার বলেন, ‘‘প্রতিটি কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবেন অন্তত এক জন ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার কর্মী। নিরাপত্তার সব রকম বন্দোবস্ত থাকছে।’’
শহরের যে ১৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে, সেখানকার ভেনু ইন-চার্জরা জানাচ্ছেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে এত নিরাপত্তা আগে দেখেননি তাঁরা। সিসি ক্যামেরা, বায়োমেট্রিক পরীক্ষা ছাড়াও পরীক্ষার্থীরা যখন মেটাল ডিটেক্টর পেরিয়ে ঢুকবেন, তখন তাঁদের দ্বিতীয় অ্যাডমিট কার্ডে স্ট্যাম্প মারা হবে। তবেই পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকা যাবে।
হিন্দু স্কুল টেটের একটি কেন্দ্র। প্রধান শিক্ষক শুভ্রজিৎ দত্ত ভেনু সুপারভাইজ়ার। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কেন্দ্রের প্রশ্নপত্র থাকবে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায়। সেখান থেকে তা আনবেন পরীক্ষা কেন্দ্রের ইন-চার্জ। পরীক্ষা শেষে তাঁরই দায়িত্ব উত্তরপত্র থানায় পৌঁছে দেওয়া।” দক্ষিণ কলকাতার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, “২৫ জন পরীক্ষার্থীর জন্য এক জন করে নজরদার থাকবেন।”