আর জি কর-কাণ্ডের জেরে আন্দোলনে গত দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে উত্তাল শহর তথা রাজ্য। —ফাইল চিত্র।
আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক-পড়ুয়াকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে এবং রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভালের প্রতিবাদে মঙ্গলবার ধর্মতলায় দ্রোহের কার্নিভালের ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সেই কর্মসূচিতে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য রাজ্য পুলিশ থেকে অফিসার এবং বাহিনী নিয়ে আসা হয়েছিল কলকাতা পুলিশে। লালবাজার সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশের তিন জন আইপিএস অফিসারকে এ দিন ধর্মতলায় বিভিন্ন এলাকার দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ সুপার পদের ওই তিন অফিসারের অধীনে ছিলেন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকেরা। রাজ্য পুলিশ থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল ৫০ জন মহিলা কনস্টেবলকে।
উল্লেখ্য, আর জি কর-কাণ্ডের জেরে আন্দোলনে গত দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে উত্তাল শহর তথা রাজ্য। সূত্রের খবর, সেই আন্দোলন সামাল দেওয়ার জন্যই অতিরিক্ত বাহিনী আনা হয়েছে।
লালবাজার সূত্রের খবর, দ্রোহের কার্নিভাল ঠেকাতে রবিবার রাতেই ধর্মতলা-সহ বিভিন্ন এলাকায় পাঁচ জনের বেশি মানুষের জমায়েতের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন কলকাতার নগরপাল মনোজ বর্মা। পরে অবশ্য সেই নিষেধাজ্ঞা খারিজ করে কলকাতা হাই কোর্ট। এ দিন দ্রোহের কার্নিভাল আটকাতে গোটা ধর্মতলাকে ১৬টি ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। ওই ১৬টি জায়গা আবার তিন ভাগে ভাগ করে রাজ্য পুলিশে কর্মরত তিন আইপিএস অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। যাঁদের অধীনে ছিলেন কলকাতা পুলিশের একাধিক সহকারী নগরপাল ও মধ্য কলকাতার বিভিন্ন থানার ওসি-রা। পাশাপাশি, গোটা ধর্মতলা জুড়ে মোতায়েন করা হয়েছিল প্রায় ৮০০ পুলিশকর্মীকে।