প্রতিবাদ করায় এক যুবককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল ওই দুই যুবক ও তাদের সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।
রাস্তার উপরেই মাদক সেবন করছিল দুই যুবক। চলছিল প্রস্রাব করাও। তাদের এ হেন আচরণের প্রতিবাদ করায় এক যুবককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল ওই দুই যুবক ও তাদের সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় প্রহৃত যুবক আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি শুক্রবার রাতে ঘটলেও শনিবার রাত পর্যন্ত অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার ঝামাপুকুর পার্ক এলাকায়। বছর পঁচিশের প্রহৃত যুবকের নাম বর্ণ বর্মণ। তিনি পেশায় রেস্তরাঁ ব্যবসায়ী। সেই সঙ্গে কলকাতা পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের ছাত্র নেতাও। মারধরে তিনি জখম হয়েছেন। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বর্ণ জানান, শুক্রবার রাত সওয়া ১২টা নাগাদ তিনি কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই দুই যুবককে রাস্তায় দেখেন। তাদের এক জন রাস্তায় প্রস্রাব করছিল বলে অভিযোগ বর্ণের। তিনি বলেন, ‘‘ছেলে দু’টি আমার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট। ওদের সঙ্গে একটি স্কুটার ছিল। এক জনকে সিগারেটের সঙ্গে গাঁজা মেশাতেও দেখি। আমি ওদের রাস্তায় প্রস্রাব করতে বারণ করি। চেঁচিয়ে প্রতিবাদ করি। প্রথমে ওরা কিছু বলেনি। আমি দেখলাম, এক জন কাউকে একটা ফোন করল। ভাবলাম, হয়তো বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলছে। এর খানিক বাদেই ১৫-১৬ জন ছেলে এসে হাজির হয়।’’
অভিযোগ, এর পরে ওই যুবকেরা বর্ণকে বেধড়ক মারধর করে। তাঁর দাবি, ‘‘আমাকে মারতে মারতে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। বুকের উপরে এক জন দাঁড়িয়ে পড়ে। ইট দিয়েও মারা হয় আমাকে। আচমকা এইঘটনায় পাড়ার লোকজন হকচকিয়ে যান। তাঁরা আমাকে বাঁচাতে এলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। ১০-১৫ মিনিট কার্যত তাণ্ডব চলে আমাদের উপরে।’’
অভিযুক্তদের মধ্যে এক জন পাশের পাড়ায় থাকে বলে জানতে পেরেছেন ওই ব্যবসায়ী। বর্ণ জানান, রাতেই তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করান। তার পরে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই বলেই বর্ণের দাবি। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনাটি আমি আমার ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে লিখিত আকারে জানিয়েছি। তবে, এই গোলমালের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই। আমি ছাত্রনেতা হলেও আমার ব্যবসা রয়েছে।’’