Fire Accident

কল সারাই করতে গিয়ে গ্যারােজ আগুন লাগায় পুড়ে মৃত্যু যুবকের

পুলিশ জানায়, বিদ্যুৎ কল সারানোর জন্য কুশকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু কুশ বাড়ির গ্যারাজে কী ভাবে আটকে পড়লেন, সেটাই বিদ্যুৎকে আটক করে জানতে চাওয়া হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:৪৮
Share:

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিট নাগাদ ওই বাড়ির নীচের গ্যারাজে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। প্রতীকী ছবি।

গৃহকর্তার ডাকে কল সারাই করতে গিয়েছিলেন এক যুবক। আচমকাই সেই বাড়ির নীচের একটি গ্যারাজে আগুন লাগে। সেই আগুনে আটকে পড়েন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দমকলকর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করার সময়ে জানতে পারেন ভিতরে আটকে থাকা ওই যুবকের কথা। কিন্তু তাঁকে আর সেখান থেকে বার করা যায়নি। আগুন নেভার পরে পোড়া সেই গ্যারাজের ভিতর থেকে যুবকের দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছে।

Advertisement

শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার অদূরে, মহেশতলা পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের অধীন পাহাড়পুর রোডের কাছে রামপুর অঞ্চলে। ওই দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। মহেশতলা থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম কুশ মিত্র (২৫)। তিনি পেশায় কলের মিস্ত্রি ছিলেন। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতায়। গ্যারাজটি যে বাড়ির নীচে চলছিল, সেটির মালিক বিদ্যুৎ বড়ুয়াকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মহেশতলা থানার পুলিশ।

পুলিশ জানায়, বিদ্যুৎ কল সারানোর জন্য কুশকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু কুশ বাড়ির গ্যারাজে কী ভাবে আটকে পড়লেন, সেটাই বিদ্যুৎকে আটক করে জানতে চাওয়া হচ্ছে। গ্যারাজ না কি বাড়ির কল সারাতে কুশকে ডাকা হয়েছিল, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। খোঁজ চলছে গ্যারাজের মালিকেরও।

Advertisement

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ দিন সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিট নাগাদ ওই বাড়ির নীচের গ্যারাজে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। তখন গ্যারাজের ভিতরে বেশ কয়েকটি মোটরবাইক রাখা ছিল। ফলে দ্রুত ওই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দমকলকর্মীরা জানান, আগুনের গ্রাসে চলে যাওয়া মোটরবাইকগুলির তেলের ট্যাঙ্কে পেট্রল ভরা থাকায় বিস্ফোরণ হতে থাকে। ফলে বাইকগুলি যেমন পুড়ে যায়, তেমনই পেট্রল থেকে আগুনও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আসে বলে খবর।

সেই সময়েই সবাই জানতে পারেন, কুশ নামে ওই যুবকের গ্যারাজের ভিতরে আটকে পড়ার বিষয়টি। কিন্তু তত ক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement