—প্রতীকী চিত্র।
প্রায় দেড় বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন তেহট্টের বাসিন্দা এক মহিলা। অবশেষে তাঁর সন্ধান মিলল। মধ্যমগ্রাম গ্রিনপার্কের এক মিশনারি সংগঠনের সদস্য এবং হ্যাম রেডিয়ো সংস্থা পশ্চিমবঙ্গ রেডিয়ো ক্লাবের সহযোগিতায় শনিবার ওই মহিলাকে তাঁর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। স্বাভাবিক ভাবেই খুশি মহিলার স্বামী ও ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তেহট্ট দত্তপাড়ার বাসিন্দা শুকদেব হালদারের সঙ্গে বিয়ে হয় বেতাই এলাকার রাধারানি হালদারের (৩৭)। দম্পতির এক ছেলে রয়েছে। পরিবার সূত্রের খবর, ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন। বছরখানেক আগে তেহট্ট থেকে নিখোঁজ হয়ে যান রাধারানি। নানা জায়গায় খোঁজার পরে মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তেহট্ট থানায় দ্বারস্থ হন। নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তবু সন্ধান মেলেনি তাঁর।
অন্য দিকে, ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পরে মধ্যমগ্রামের রাস্তায় এক মহিলাকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় গ্রিনপার্কের ওই মিশনারি সংগঠনের সদস্যেরা। তাঁরাই মহিলার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। তাঁর আশ্রয় ও খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। ধীরে ধীরে তাঁর পরিচয়-ঠিকানা জানার চেষ্টা শুরু করেন স্থানীয় হ্যাম রেডিয়ো ক্লাবের কর্মকর্তারা।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি তাঁরা মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলার মায়ের ঠিকানা পান। এর পরেই তেহট্টের পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাদের সহযোগিতায় মহিলার মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েকে ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করেন মা। দ্বিতীয় দফায় তাঁরা মহিলার স্বামী ও ছেলের খোঁজ শুরু করেন। শেষে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে তেহট্ট দত্তপাড়ায় মহিলার ছেলের খোঁজ মেলে। এত দিন পরে মাকে কাছে পেয়ে খুশি ছেলে প্রণব হালদার। তিনি বলেন, “মাকে অনেক খোঁজা হয়েছে। আজ মাকে পেয়ে খুব ভাল লাগছে।”
পশ্চিমবঙ্গ রেডিয়ো ক্লাবের সম্পাদক অম্বরীশ নাগ বিশ্বাস বলেন, “ওই মহিলাকে বাড়িতে ফিরিয়ে দিতে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। তেহট্ট পুলিশ-প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা সফল হলাম। শনিবার বিকেলে পরিবারে ফেরেন মহিলা।”