Crime

যুবক খুনে দশক পেরিয়ে গ্রেফতার ‘প্রেমিকা’

তদন্ত প্রক্রিয়ায় খুনের কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি, এই কথা জানিয়ে এর আগে রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশ অভিযুক্তকে নির্দোষ আখ্যা দিয়েছিল। কিন্তু জুনিয়রের পরিবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। হাইকোর্টের রায়েই খুনের মামলাটির তদন্তভার নেয় সিবিআই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:০৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

এক দশক আগের একটি খুনের ঘটনায় নিহত যুবকের ‘প্রেমিকা’ তথা অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করল সিবিআই। ধৃত প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী মোহনবাগান ক্লাবের এক প্রাক্তন কর্তা তথা ব্যবসায়ীর পুত্রবধূ। নিহত যুবকের নাম জুনিয়র মৃধা।

Advertisement

তদন্ত প্রক্রিয়ায় খুনের কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি, এই কথা জানিয়ে এর আগে রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশ অভিযুক্তকে নির্দোষ আখ্যা দিয়েছিল। কিন্তু জুনিয়রের পরিবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। হাইকোর্টের রায়েই খুনের মামলাটির তদন্তভার নেয় সিবিআই।

ঘটনার সূত্রপাত ২০১১ সালের ১২ জুলাই। বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পড়ে থাকা জুনিয়রের মৃতদেহ দেখে প্রথমে পথ দুর্ঘটনা বলেই মনে করা হয়েছিল। পরে তাঁর কাঁধে একটি ফুটো পাওয়া যায়, যা গুলির ক্ষতচিহ্ন বলেই মালুম হয়। এর পরে ফোনের সূত্র ধরে তরুণ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার জুনিয়রের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা ওরফে মুনের যোগসূত্র মেলে। জুনিয়রের পরিজনদেরও দাবি, ঘটনার দিন দুপুরে ফোনে ‘মুনের ডাক’ পেয়েই জুনিয়র বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন।

Advertisement

প্রিয়াঙ্কার আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী অবশ্য দাবি করেন, ‘‘আমার মক্কেল আদৌ খুনে জড়িত নন। তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন।” হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়েই জুনিয়র খুনের মামলায় সক্রিয় হয়েছিলেন সিবিআই গোয়েন্দারা। দীর্ঘ জেরার পরে এ দিন তাঁরা প্রিয়াঙ্কাকে গ্রেফতার করেন।

এর আগে রাজ্য পুলিশ এই খুনের নিষ্পত্তি হওয়া কার্যত অসম্ভব বলে হাত তুলে নেওয়ায় রাজ্য আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জুনিয়রের পরিজনেরা। তাঁদের হয়ে হাইকোর্টে মামলাটি লড়েন জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘দেরিতে হলেও জুনিয়রের মা-বাবা সুবিচার পাওয়ার পথে এগোলেন বলে মনে হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement