Bally Toll Plaza

বালির টোল প্লাজায় ভাঙচুর

অভিযোগ, টাকা দেওয়ার পরে লেনের গার্ড খুলে দেওয়া হলেও চালক লরি সরাননি। এর ফলে পরপর গাড়ির লাইন পড়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২০ ০১:০৯
Share:

প্রতীকী ছবি

ফাস্ট্যাগ স্টিকার সাঁটা থাকলেও সেটি কাজ করছিল না। তাই লরির চালককে টোলের টাকা নগদে জমা করতে বলেছিলেন কর্মীরা। অভিযোগ, অনেক টালবাহানার পরে ওই চালক ট্যাক্স জমা দিলেও কিছু ক্ষণ পরেই লোকজন ডেকে এনে ভাঙচুর চালান। এমনকি, ইচ্ছাকৃত ভাবে বালি, সিমেন্ট বোঝাই লরি বিভিন্ন জায়গায় আটকে দেওয়ায় তীব্র যানজট তৈরি হয় টোল প্লাজ়ায়।

Advertisement

রবিবার ভোরে এই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কিত বালির রাজচন্দ্রপুর টোল প্লাজ়ার কর্মীরা। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন দ্বিতীয় বিবেকানন্দ সেতু টোলওয়ে সংস্থার কর্তৃপক্ষ। এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘টোল ট্যাক্স দেওয়ার পরেও কেন লোকজন ডেকে এনে ঝামেলা করলেন ওই চালক, সেটাই বুঝতে পারছি না। এমন ঘটনার পরে টোল বুথের কর্মীরাও ভয়ে রয়েছেন।’’

সংস্থা সূত্রের খবর, বালির ওই টোল প্লাজ়ায় আসা এবং যাওয়ার দিকে আটটি করে লেন রয়েছে। এর মধ্যে দু’টি করে লেন নগদে ট্যাক্স দেওয়ার জন্য খোলা থাকে। রবিবার ভোরে ডানলপের দিকে যাওয়ার জন্য চার নম্বর লেনে ঢুকেছিল বালি বোঝাই লরিটি। কিন্তু স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের মাধ্যমে ফাস্ট্যাগ স্টিকারটি কোনও ভাবেই পড়া (রিড) যাচ্ছিল না। কর্মীরা হ্যান্ড মেশিন দিয়ে চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। তখন চালককে বলা হয়, ২৩৫ টাকা ট্যাক্স বাবদ নগদ দিতে।

Advertisement

অভিযোগ, টাকা দেওয়ার পরে লেনের গার্ড খুলে দেওয়া হলেও চালক লরি সরাননি। এর ফলে পরপর গাড়ির লাইন পড়ে যায়। অগত্যা গাড়িগুলিকে অন্য লেন দিয়ে বার করার চেষ্টা করা হয়। বেশ কিছু ক্ষণ পরে দক্ষিণেশ্বরের দিক থেকে টোল রাস্তা দিয়ে কয়েকটি বাইকে চেপে ২০-২২ জন যুবককে লাঠি হাতে আসতে দেখা যায়। অভিযোগ, ওই যুবকেরা দু’টি বুথ ভাঙচুর করে। দু’জন কর্মীকে মারধর করা হয়। নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ আসার আগেই চম্পট দেয় চালক এবং ওই যুবকেরা।

টোল প্লাজ়ার কর্তারা জানান, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, নিষেধ থাকা সত্ত্বেও আলমবাজার থেকে সেতুর উপর দিয়েই মোটরবাইক চালিয়ে রাজচন্দ্রপুরে আসে ওই যুবকেরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, আলমবাজারের কাছে তাঁতিপাড়া এলাকা থেকে এসেছিল তারা। কয়েক জনকে চিহ্নিত করার পাশাপাশি লরির মালিককে নোটিস পাঠানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement