প্রতীকী ছবি।
বন্দর এলাকায় বড় দুর্ঘটনা আর তার কারণে মৃত্যু থামছেই না। এক মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে সেখানে ফের মৃত্যু। কাউন্সিলর-পুত্রের পরে এ বার একটি ট্রেলারের চালক। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকায়। ওই দুর্ঘটনায় চালকের মাথায় আঘাত লাগে। দক্ষিণ বন্দর থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। একের পর এক দুর্ঘটনা এবং তার জেরে মৃত্যু বন্দর এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত চালকের নাম অশোককুমার শাহ (৫৫)। তাঁর বাড়ি পশ্চিম বন্দর থানা এলাকায়। শনিবার সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে রিমাউন্ট রোড সংলগ্ন পার্কিংয়ে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই দিন সন্ধ্যায় ট্রেলারটি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছিলেন অশোক। আসনের জানলা থেকে বাইরে মুখ বার করে দেখছিলেন আর গাড়ি ব্যাক করছিলেন। সেই সময়েই ঘটে দুর্ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মুখ বার করে চালক যখন ট্রেলারটি পিছনে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরিতে তাঁর মাথায় ধাক্কালাগে। ট্রেলারটির গতি বেশি থাকায় গুরুতর চোট পান অশোক। স্থানীয়েরাই দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দক্ষিণ বন্দর থানায় খবর দেন তাঁরাই।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, চালক মত্ত অবস্থায় ছিলেন। এর ফলেই ঘটে দুর্ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি বলেন, ‘‘বেশ জোরেই পিছন দিকে যাচ্ছিল ট্রেলারটি। বার কয়েক থেমেও যায়। মুখ বার করলেও পাশের গাড়ির দিকে কোনও খেয়াল ছিল না চালকের।’’ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি আটক করা হয়েছে ট্রেলারটিও। রবিবার মৃতদেহের ময়না তদন্ত হয়।
প্রসঙ্গত, তিন সপ্তাহ আগে বন্দর এলাকায় এক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর রামপিয়ারি রামের ছেলে রামকিঙ্কর রামের। সে বার অন্ধকার এবং পুকুর সমান গর্তে ভরা রাস্তা দিয়ে আসার পথে রামকিঙ্করের গাড়ির উপরে উল্টে যায় সার বোঝাই একটি লরি। লরির চাপে চেপ্টে যায় গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রামকিঙ্করের। ওই ঘটনায় রাস্তার বেহাল অবস্থার পাশাপাশি রাতে বন্দর এলাকায় নজরদারি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল।