প্রস্তুতি: একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ তৈরির জন্য এনে রাখা হয়েছে সরঞ্জাম। শুক্রবার, ধর্মতলায়। ছবি: রণজিৎ নন্দী।
আগামী ২১ জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সমাবেশ উপলক্ষে আগের রাত থেকেই রাস্তায় নামছে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের বিশেষ দল।
লালবাজার সূত্রের খবর, ধর্মতলা সংলগ্ন এলাকাকে পাঁচটি সেক্টরে ভাগ করে ট্র্যাফিক পুলিশের পাঁচটি দলকে রাতের শহরে পার্কিং এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই পাঁচটি দলের মাথায় থাকছেন এক জন করে ইনস্পেক্টর। তাঁর সঙ্গে থাকবেন দু’জন সার্জেন্ট এবং ১৮ জন করে পুলিশকর্মী। সমাবেশ উপলক্ষে সমর্থকদের যে সব গাড়ি রাত ১০টার পরে শহরে ঢুকবে, তাদের নির্দিষ্ট জায়গায় রাখতে সাহায্য করবেন ওই পুলিশকর্মীরা। এই পাঁচটি দল কাজ করবে দু’জন সহকারী নগরপালের অধীনে।
পুলিশ সূত্রের খবর, রাত ১০টার পরে শহরে নির্দিষ্ট সংখ্যক ট্র্যাফিক পুলিশকর্মী থাকেন। অতীতের ২১ জুলাইয়ের অভিজ্ঞতায় পুলিশের আধিকারিকেরা দেখেছেন, সমাবেশের আগের রাতে যে সব গাড়ি শহরে আসে, পুলিশ না থাকায় সেগুলি যেখানে-সেখানে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এর ফলে সমাবেশের দিন সকাল থেকে ওই সব রাস্তায় ব্যাহত হয় যান চলাচল। সেই কারণে এ বার ঠিক হয়েছে, রাতের শহরে বিভিন্ন গার্ডে যেমন ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীরা ডিউটি করেন, তাঁরা তো থাকবেনই। এর বাইরে নির্দিষ্ট ভাবে সমাবেশের গাড়ির জন্য মোতায়েন করা হবে ওই পাঁচটি দলকে, যারা রাত ১০টা থেকে পরের দিন ভোর পর্যন্ত ধর্মতলা সংলগ্ন রাস্তায় থাকবে।
লালবাজার জানিয়েছে, সমাবেশের দিন যান চলাচল মসৃণ রাখতে গোটা শহরকে ১৫টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। মূলত যে সব রাস্তা দিয়ে মিছিল বা সমাবেশের গাড়ি আসবে, সেই সব এলাকাকে রাখা হয়েছে ওই সব সেক্টরে। প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্বে থাকবেন এক জন করে সহকারী নগরপাল। তাঁর অধীনে থাকবেন এক জন করে ইনস্পেক্টর এবং অফিসারদের বাহিনী। শহরের সব গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এবং মোড়ে ওই বাহিনী মোতায়েন থাকবে। যারা সমর্থকদের গাড়ি ঠিক রাস্তা দিয়ে সমাবেশস্থলে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি, সমাবেশ শেষ হয়ে গেলে ট্র্যাফিক ব্যবস্থা দ্রুত স্বাভাবিক করারও চেষ্টা করবে। পুলিশ সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশ এলাকার বাইরে হাওড়ার মাইতিপাড়া এবং নিবড়া সংযোগস্থলে থাকবেন কলকাতা পুলিশের অফিসারেরা।
লালবাজারের কর্তারা জানাচ্ছেন, এ বারের ২১ জুলাইয়ে পার্কিংয়ের উপরে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিশেষত, নির্দিষ্ট জায়গায় যাতে গাড়ি দাঁড় করানো হয়, তার জন্য ট্র্যাফিক পুলিশের দলকে নির্দেশ দেওয়া থাকবে।
অভিযোগ, প্রতি বছরই ২১ জুলাই পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও একটি সময়ের পরে ধর্মতলা-সহ আশপাশের এলাকায় যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। সমর্থকদের গাড়ির চাপে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বিদ্যাসাগর সেতুও। পুলিশকর্তাদের দাবি, ওই দিন ভিড় সামলে শহরের বাকি অংশে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখাই চ্যালেঞ্জ। সেই মতো ব্যবস্থা করা হচ্ছে।