—প্রতীকী চিত্র।
কেন্দ্রীয় বাহিনী স্কুলে থাকাকালীন বিদ্যুতের বিল এসেছিল ৪১ হাজার ৩৮০ টাকা। এখনও মেটানো যায়নি সেই বিল। তা হলে কি তাঁদের স্কুলের বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দেওয়া হবে? এই আশঙ্কায় ভুগছেন যাদবপুরের এন কে পাল আদর্শ শিক্ষায়তনের শিক্ষকেরা। শুধু ওই স্কুলই নয়। শহরের আরও কয়েকটি স্কুল জানাচ্ছে, তারা বিদ্যুতের বিল ‘কম্পোজ়িট গ্রান্ট’ থেকে মিটিয়েছে ঠিকই। কিন্তু স্কুলে আপৎকালীন কিছু হয়ে গেলে তখন কোন তহবিল থেকে সামাল দেওয়া হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কর্তৃপক্ষ।
যাদবপুরের এন কে পাল আদর্শ শিক্ষায়তনের প্রধান শিক্ষক জনার্দন রায় জানিয়েছেন, মে মাসে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকাকালীন ৪১ হাজার ৩৮০ টাকা বিল এসেছে। সম্ভবত দিন-রাত আলো-পাখা জ্বালিয়ে রাখতেন বাহিনীর কর্মীরা। সেই সঙ্গে সার্চ
লাইট, হ্যালোজেনও জ্বালিয়ে রাখা হত। সব সময়ে ৬০টির মতো বড় স্ট্যান্ড ফ্যান চলেছে। পাম্প চলেছে। জনার্দনের অভিযোগ, ‘‘এ বারের বিল কী ভাবে মেটানো হবে, সেই বিষয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শক, শিক্ষা দফতর, প্রশাসন—সবাইকে জানিয়েছি। সদুত্তর পাইনি। স্থানীয় থানা থেকে বিল বাবদ দু’হাজার টাকা দিতে
চেয়েছিল, আমরা সেই টাকা নিইনি। ওই টাকায় সমস্যা মিটবে না। থানা থেকে বলা হয়েছে, বিদ্যুতের বিল বাবদ দু’হাজার টাকাই তাদের বরাদ্দ করা হয়েছে।’’
প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, সর্বশিক্ষা মিশন থেকে কম্পোজ়িট গ্রান্ট বাবদ যে এক লক্ষ টাকার মতো তাঁদের পাওয়ার কথা, তা এখনও
তাঁরা পাননি। তিনি বলেন, ‘‘৪১ হাজার ৩৮০ টাকা আমরা দিতে পারিনি। বিল অনাদায়ী হওয়ায় আরও ৩৮০ টাকা বেড়ে ৪১ হাজার ৭৬০ টাকা হয়েছে। স্কুলের বিল না
মেটালে বিদ্যুতের সংযোগ কেটে
দেবে কি না, সেই আশঙ্কায় ভুগছি।
এই মোটা টাকার বিল মেটানো সম্ভব নয়।’’
যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার জানাচ্ছেন, তাঁদের স্কুলে মে মাসে বিদ্যুতের বিল এসেছিল ৩৫ হাজার ৮৬ টাকা। অমিতও জানান, স্থানীয় থানা থেকে দু’হাজার টাকা দিয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কম্পোজ়িট গ্রান্টে যে টাকা ছিল, তাই দিয়ে বিল মিটিয়েছি। এর পরে জরুরি ভিত্তিতে কিছু করতে গেলে, যেমন স্কুল মেরামতি বা অন্য কাজ, তখন কম্পোজ়িট গ্রান্টে টাকা কম পড়তে পারে।’’
শিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘উপযুক্ত প্রমাণ-সহ বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানালে, সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে বিদ্যুতের এই বিল পাওয়ার কথা। আমরা বিষয়টি দেখছি।’’