প্রতীকী ছবি।
শুধু নাবালিকা নয়, বালক-কিশোরেরাও যে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় রীতিমতো ভুক্তভোগী, ফের তার প্রমাণ মিলল। নারকেলডাঙার ৪১ বছরের এক ব্যক্তিকে নাবালক-নিগ্রহের অভিযোগে ২০ বছরের সাজা দিয়েছে শিয়ালদহের বিশেষ পকসো আদালত। সোমবার বিচারক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের রায়ে ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও হয়েছে ওই যুবকের।
রায়ে জানানো হয়েছে, অপরাধীর নাম সুকুমার ঘোষ ওরফে বিশু। যৌন নির্যাতনের শিকার কিশোরটি তার প্রতিবেশী। চাউমিন ও রোল খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে বিশু ওই নাবালকটিকে নিজের বাড়ির দোতলায় ডেকে এনে যৌন নির্যাতন করত। ছেলেটি চিৎকার করে কাঁদলে তারস্বরে মিউজ়িক সিস্টেমে গানবাজনা চালিয়ে দেওয়া হত, যাতে আওয়াজ বাইরে না যায়।
গত ২ ডিসেম্বর ১৪ বছরের ওই কিশোর নিজেই বিশুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। পকসো আদালতের বিশেষ সরকারি আইনজীবী বিবেক শর্মা জানান, ‘প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস অ্যাক্ট’ বা পকসোর ৬ এবং ১০ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এ ছাড়া ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারাও প্রয়োগ করা হয়েছে।
আদালত সূত্রের খবর, ছেলেটিকে খাবারের টোপ দিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে নিয়মিত চলত অত্যাচার। শেষে সে তার মাকে সব জানায় এবং কিশোর নিজেই পুলিশে অভিযোগ করে। সে দিনই বিশুকে গ্রেফতার করা হয়। আইনজীবী জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী কিশোর ছাড়াও তার মা এবং কয়েক জন প্রতিবেশী এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। এনআরএসের রিপোর্টেও ছেলেটির উপরে অত্যাচারের কথা বলা হয়েছে।