—প্রতীকী চিত্র।
আর জি করে চিকিৎসক-পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সারা রাজ্য তোলপাড়। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মহিলাদের রাতে কাজ না করা এবং ‘নাইট শিফট’ যথাসম্ভব কম দেওয়ার কথা বলা হয়েছে রাজ্য সরকারের নির্দেশিকায়। অভিযোগ, শনিবার সরকারের ওই মতামত প্রকাশ্যে আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, রবিবার সন্ধ্যায় যৌন হেনস্থার শিকার হলেন এক নার্স। নিউ টাউনে তাঁর কর্মস্থলের অদূরেই ওই ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় পুলিশ এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম আজিজ মোল্লা। তাকে শনাক্তকরণ প্যারেডে দাঁড় করানো হবে। মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে ধৃতকে জেল হেফাজতে পাঠায় বারাসত এসিজেএম আদালত। তবে, গোটা ঘটনায় সন্ধ্যা বা রাতে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে।
নিউ টাউনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করেন ওই নার্স। নিউ টাউনের এক পুলিশকর্তা জানান, রবিবার হাসপাতালে কাজ শেষ হওয়ার পরে ওই নার্স বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, হাসপাতালের বাইরে সার্ভিস রোড দিয়ে হাঁটার সময়ে এক সাইকেল আরোহী যুবক তাঁর উদ্দেশে প্রথমে কটূক্তি করে। ওই তরুণী তার প্রত্যুত্তর না দিয়ে বাস স্টপের দিকে এগোতে থাকেন। পুলিশ জানায়, এর পরেই অভিযুক্ত সাইকেল নিয়ে ওই তরুণীর গায়ের কাছে চলে আসে এবং তাঁকে আপত্তিকর ভাবে ছোঁয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তরুণী চিৎকার করে উঠলেও পথচলতি লোকজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই চম্পট দেয় অভিযুক্ত। পরে, সোমবার সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে টেকনো সিটি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ওই নার্স। পুলিশ জানায়, অভিযোগ পেয়ে এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়। ওই যুবক স্থানীয় বাসিন্দা হতে পারে, এমনটা ধরে নিয়ে তার খোঁজ শুরু করা হয়। এর পরে পাথরঘাটা বাজারের কাছে তার বাড়ি থেকেই আজিজকে সোমবার রাতে ধরে পুলিশ। সে পেশায় কলের মিস্ত্রি।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, সার্ভিস রোডের ওই অংশে কয়েকটি বড় গাছ থাকায় জায়গাটি অন্ধকার থাকে। সেখানে নানা দুষ্কর্মও চলে। বহিরাগত যুবকেরা সেখানে ভিড় জমায় বলে অভিযোগ। পুলিশকে ওই এলাকায় নজরদারি চালাতে অনুরোধ করেছে হাসপাতাল।