Death

মদের আসরে বচসার জেরে মারধর, ন’দিন পরে মৃত্যু আক্রান্তের

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিতে অস্থায়ী কর্মী ছিলেন সুভাষ। ম্যাগাজিন গেট এলাকায় স্ত্রী এবং আট বছরের ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন তিনি। গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ঘটনার সূত্রপাত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:৫০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

মদের আসরে ঝামেলা হয়েছিল চার বন্ধুর মধ্যে। তার জেরে এক যুবককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছিল অন্য তিন বন্ধুর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার ন’দিনের মাথায়, শনিবার রাতে হাসপাতালে মৃত্যু হল আক্রান্ত যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে
দমদম থানার ম্যাগাজিন গেট সংলগ্ন এলাকায়। মৃতের নাম সুভাষকুমার যাদব (৩৬)। শনিবার রাতে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিতে অস্থায়ী কর্মী ছিলেন সুভাষ।
ম্যাগাজিন গেট এলাকায় স্ত্রী এবং আট বছরের ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন তিনি। গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ঘটনার সূত্রপাত। স্থানীয় সূত্রের দাবি, কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে এলাকায় বসে মদ্যপান করছিলেন সুভাষ। সেই সময়ে কোনও একটি বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে বচসা হয়। বচসা চলাকালীন তিন বন্ধু সুভাষকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। রবিবার এসএসকেএম হাসপাতালের মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে মৃতের এক বন্ধু বলেন, ‘‘সুভাষকে প্রথমে ধাক্কা মেরে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। এর পরে রীতিমতো ঘিরে ধরে লাথি, ঘুষি মারা হয়।’’ কোনও মতে ওই যুবককে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেন স্থানীয়েরা। কিন্তু রাতে ফের অসুস্থ হয়ে পড়ায় সুভাষকে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই শনিবার তাঁর মৃত্যু হয়।

এ দিকে, মারধরের ঘটনার পরদিনই দমদম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিল সুভাষের পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম কৃষ্ণ সিংহ, অলোক বিশ্বাস এবং বুলু রায়। তারা বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে। মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জেনেছে, কয়েক সপ্তাহ আগে কিডনির সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সুভাষ। কিছু দিন আগে বাড়ি আসেন। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে আগেই মামলা রুজু হয়েছিল। ময়না তদন্তের রিপোর্ট দেখার পরে প্রয়োজনে খুনের ধারা যোগ করা হবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement