বছর উনিশের এক তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
বছর উনিশের এক তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মৃতার নাম প্রীতি গুপ্ত (১৯)। বাড়ি হরিদেবপুর থানা এলাকার বাগানপাড়ায়।
পুলিশি সূত্রের খবর, বাগানপাড়ার পাশেই ঢালিপাড়ায় থাকেন প্রীতির দিদি-জামাইবাবু। রবিবার রাতে বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখে হইহুল্লোড় করে দিদির বাড়িতে যান প্রীতি। রাতে সেখানেই ছিলেন। প্রীতির জামাইবাবুর দাদা সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রবিবার খেলা শেষে খাওয়াদাওয়া করে ঘুমোতে রাত হয়ে গিয়েছিল। রাতে আলাদা ঘরে ঘুমিয়েছিল প্রীতি।’’ সোমবার সকালে ৯টা বেজে গেলেও প্রীতির ঘুম না ভাঙায় তাঁর দিদি ডাকাডাকি করেও সাড়া পাননি। বাড়ির অন্য সদস্যেরা প্রীতিকে ডেকেও সাড়াশব্দ পাননি। সন্দেহ হওয়ায় তখন তাঁরা ঘরের দরজা ঠেলে ঢুকে দেখেন, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে তরুণীর দেহ।
পুলিশ জানিয়েছে, মাধ্যমিক পাশ করার পরে কম্পিউটার নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন প্রীতি। ঘটনাস্থল থেকে সুইসাইড নোট মেলেনি। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ওই তরুণী অবসাদে ভুগছিলেন। তদন্তকারীদের ধারণা, সেই কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন। যে ঘর থেকে ওই তরুণীর দেহ মিলেছে, সেই ঘরটি সিল করে দিয়েছে পুলিশ। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।