স্টেশনে থামার সময়ে সিগন্যাল ভেঙে প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে এগিয়ে গেল মেট্রো। এর ফলে ট্রেনের প্রথম তিনটি কামরা প্ল্যাটফর্ম ছাড়িয়ে এগিয়ে যায়। ঘটনায় হকচকিয়ে যান মেট্রোকর্মীরা। প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে ট্রেন এগিয়ে যাচ্ছে দেখে আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যেও। রবিবার, মহালয়ার দুপুরে দমদম স্টেশনে দক্ষিণেশ্বরগামী একটি মেট্রোর এই ঘটনায় যাত্রী-সুরক্ষা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে।
ঘটনার সূত্রপাত এ দিন দুপুর ১টা ৫০ মিনিট নাগাদ। মেধা সিরিজ়ের দক্ষিণেশ্বরগামী ৪০৬ নম্বর রেকটি দমদমে থামার সময়ে প্রথম তিনটি কামরা ও চতুর্থ কামরার একাংশ প্ল্যাটফর্ম ছাড়িয়ে এগিয়ে যায়। তবে কী ঘটেছে, সেটা বুঝে চালক আর দরজা খোলার ঝুঁকি নেননি। কিছু ক্ষণ পরে কন্ট্রোলের সঙ্গে কথা বলে ট্রেনটিকে পিছিয়ে প্ল্যাটফর্মে ফিরিয়ে আনা হয়। তার পরে দরজা খুলে যাত্রীদের নামিয়ে ট্রেন দক্ষিণেশ্বরের দিকে রওনা হয়। আপাতদৃষ্টিতে বড় কোনও বিপত্তি না ঘটলেও সিগন্যাল ছাড়িয়ে যাওয়ার ঘটনা কার্যত সিগন্যাল উপেক্ষা করারই শামিল। কেন ওই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। কোন পরিস্থিতিতে চালক ট্রেনটিকে প্ল্যাটফর্মে থামাতে পারেননি, তা জানতে ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় প্ল্যাটফর্ম ছাড়িয়ে ট্রেন এগিয়ে যাওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। তবে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোয় চালকদের এমন ভুলের আশঙ্কা তুলনায় কম। কারণ, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্ল্যাটফর্মে স্ক্রিন ডোর থাকায় ওই দরজার সঙ্গে কামরার দরজা মিলিয়ে, মাত্র এক ফুট পরিসরের মধ্যে ট্রেন থামাতে হয় চালকদের। কিন্তু উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোয় সেই সমস্যা নেই, ফলে ট্রেনের সামনে-পিছনে মোট প্রায় ছ’ফুট জায়গা থাকে। কিন্তু তার পরেও এমন ঘটনা ঘটায় এর পিছনে যান্ত্রিক ত্রুটি না কি চালকের গাফিলতি— তা জানার চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, মেট্রোয় ২০১৮ সালের পরে নতুন চালক নিয়োগ হয়নি। প্রতি মাসেই কিছু চালক অবসর নিচ্ছেন। মেট্রোচালকদের একাংশের দাবি, এর জেরে অত্যধিক কাজের চাপ বেড়েছে, ফলে তাঁদের বিশ্রামের সময় কমছে। যার জেরে বাড়ছে ভুলভ্রান্তির সংখ্যাও।