Save Trees

যশোর রোডের দু’পাশের গাছ বাঁচাতে আজ মুখ্যমন্ত্রীকে স্মারকলিপি

স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়েছে, একটি গাছও যেন কাটা না হয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে প্রাচীন গাছগুলির নিয়মিত পরিচর্যা করা হোক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৩ ০৭:৩২
Share:

যশোর রোডের গাছ বাঁচাতে এপিডিআর-এর সভার প্রস্তুতি। —প্রতীকী চিত্র।

যশোর রোডের দু’পাশে থাকা গাছগুলিকে বাঁচাতে আজ, সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্মারকলিপি দিতে উদ্যোগী হয়েছে মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর-এর বারাসত ও বনগাঁ শাখা। কয়েক হাজার মানুষ তাতে স্বাক্ষর করেছেন। আবেদনে সম্মতি জানিয়ে স্বাক্ষর করেছেন রাজ্যের বিশিষ্টজনেরাও। রবিবার বিকেলে বনগাঁ শহরের ১ নম্বর রেলগেট এলাকায় এপিডিআর-এর পক্ষ থেকে এ নিয়ে জনসভা করা হয়।

Advertisement

স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়েছে, একটি গাছও যেন কাটা না হয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে প্রাচীন গাছগুলির নিয়মিত পরিচর্যা করা হোক। বিকল্প যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি ঘটিয়ে গাছ কাটার আত্মবিধ্বংসী পরিকল্পনা অবিলম্বে বাতিল করা হোক। আমপান ঘূর্ণিঝড়ের সামনে ওই গাছগুলি প্রাণপণে আগলেছে এলাকার জনজীবন।

প্রসঙ্গত, যশোর রোডের দু’ধারে ৩৫০টিরও বেশি প্রাচীন গাছ কেটে ফেলার উপরে হাই কোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল ২০১৮ সালে। পরে সেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। এপিডিআর-এর করা ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গাছ কাটার উপরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সেই স্থগিতাদেশ সম্প্রতি খারিজ করে শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চ। গত ৯ ফেব্রুয়ারি সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, যশোর রোডে ৩৫৬টি গাছ কেটে রেল ওভারব্রিজ করার পক্ষে ২০১৮ সালে কলকাতা হাই কোর্টের আদেশই বহাল রাখা হল। যশোর রোড সম্প্রসারণের কাজ থমকে থাকায় এই পথে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিলেন রাজ্য সরকারের পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।

Advertisement

গত পাঁচ বছরে দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৬০০ বলে দাবি করেছেন তিনি। গাছ কেটে রাস্তা সম্প্রসারণের অনুমতি পেলে গাছপিছু পাঁচটি করে গাছ লাগাতেও রাজ্য সরকার প্রস্তুত বলে আদালতকে জানান তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement