প্রিয়াঙ্কা হালদার।
স্বামীর বাড়ির সামনে দিয়ে ছেলেকে পড়াতে নিয়ে যাচ্ছিলেন এক তরুণী। সেই সময়ে দু’জনের দেখা। নিজেদের মধ্যে অশান্তির কারণে আলাদা থাকতেন ওই দম্পতি। এ দিনও দু’জনের মধ্যে বচসা বাধে। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন নাবালক ছেলের সামনেই স্ত্রীর মাথায় কাটারির কোপ বসিয়ে দেয় স্বামী। খানিক ক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় প্রিয়াঙ্কা হালদার (২৫) নামে ওই তরুণীর। তাঁর স্বামী রুবেল হালদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় নিউ টাউন থানা এলাকার সুলংগুড়ির দক্ষিণপাড়ায়। পুলিশ জানায়, ওই এলাকাতেই বাড়ি রুবেলের। প্রিয়াঙ্কা থাকতেন গৌরাঙ্গনগরে, একটি ভাড়া বাড়িতে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন রুবেলের বাড়ির সামনে দিয়ে ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছিলেন প্রিয়াঙ্কা। রুবেল বাড়ির বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিল। স্বামী-স্ত্রী মুখোমুখি হতেই ঝগড়া বাধে। রুবেল বাড়ির উঠোনে পড়ে থাকা একটি কাটারি তুলে প্রিয়াঙ্কার মাথায় কোপ মারে বলে অভিযোগ। পর পর আরও কয়েক বার কোপায় সে। পুলিশ জানায়, ওই দৃশ্য দেখে ভয়ে দম্পতির ছেলে দৌড়ে মামার বাড়িতে পৌঁছে প্রিয়াঙ্কার দাদাকে ডেকে আনে। তত ক্ষণে ওই তরুণী রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েছেন নর্দমায়। স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নিউ টাউন থানার পুলিশ। রুবেল প্রথমে এলাকারই একটি জায়গায় গা-ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করে। সেখান থেকেই তাকে ধরা হয়। রক্তাক্ত প্রিয়াঙ্কাকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
তদন্তকারীরা জানান, নিজেদের মধ্যে গোলমালের কারণে দু’বছর ধরে রুবেল ও প্রিয়াঙ্কা আলাদা ছিলেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, দু’জনেই পরস্পরের বিরুদ্ধে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ করতেন। এ দিন ঘটনার সময়ে প্রিয়াঙ্কা জোর করে রুবেলের বাড়ির তালা ভেঙে সেখানে ঢুকতে যান বলে স্থানীয়দের একটি অংশের দাবি। তার পরেই ওই ঘটনা ঘটে বলে জানান তাঁরা। ওই দাবির সত্যতা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।