—প্রতীকী চিত্র।
চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে অন্তঃসত্ত্বা বান্ধবীকে নিয়ে এসেছিলেন যুবকটি। দু’জনে উঠেছিলেন ইএম বাইপাসের ধারে একটি হোটেলে। কিন্তু দিন দুয়েক বান্ধবীর সঙ্গে থাকার পরে তাঁকে হোটেলেই ফেলে রেখে চম্পট দিলেন ওই যুবক। পুরো ঘটনাটি জানিয়ে প্রথমে কেএলসি থানা, পরে আনন্দপুর থানার দ্বারস্থ হন তরুণী। ঘটনাটি সোমবার রাতের। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে মঙ্গলবার রাতে কেএলসি থানা আটক করেছে অভিযুক্ত যুবককে। লিপিবদ্ধ করা হয়েছে তরুণীর বয়ানও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী তরুণী কেএলসি থানা এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত যুবকের বাড়িও পার্শ্ববর্তী এলাকায়। বছর পাঁচেক ধরে দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। তরুণীর অভিযোগ, ওই যুবক তাঁকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। দেড় বছর আগে থেকে দু’জনে পূর্ব যাদবপুর থানা এলাকায় একসঙ্গে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। কয়েক মাস আগে অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়েন তরুণী। এর পর থেকেই ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়। তরুণীর অভিযোগ, আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করছিলেন ওই যুবক।
লিখিত অভিযোগে তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, দিন দুয়েক আগে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাঁকে আনন্দপুর থানা এলাকার ভিআইপি নগরের কাছে একটি হোটেলে আনেন অভিযুক্ত যুবক। দু’দিন সেখানে থাকার পরে সোমবার দুপুরের পর থেকে আর ওই যুবকের খোঁজ মেলেনি। দীর্ঘক্ষণ তিনি না ফেরায় তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন তরুণী। কিন্তু লাভ হয়নি। এর পরেই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন।
অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে জেনেছে, তিনি বিবাহিত। কিন্তু সেই কথা লুকিয়ে তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। এমনকি, বিষয়টি যাতে জানাজানি না হয়, তার জন্য পূর্ব যাদবপুরে ঘর ভাড়া নিয়ে তরুণীকে এনে থাকতে শুরু করেন তিনি। অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন, কাজে যাওয়ার নাম করে তাঁকে রেখে চলে যেতেন ওই যুবক। ঘটনার রাতে তরুণীকে নিয়ে আনন্দপুর থানায় আসেন কেএলসি থানার আধিকারিকেরা। সেখানে দুই থানার আধিকারিকেরা তাঁর সঙ্গে কথা বলেন।
এক অফিসার বলেন, ‘‘ওই তরুণী জানিয়েছেন, যুবক যে বিবাহিত, তা তিনি জানতেন না। মনে করা হচ্ছে, সেই তথ্য আড়াল করতেই তরুণীকে ভাড়ার ঘরে নিয়ে আসেন ওই যুবক।’’