প্রতীকী ছবি
বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় জীবনে অনেক কিছুই হারিয়েছে সে। এমনকি, আত্মহত্যার আগে তার স্ত্রী স্বামীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ককেই দায়ী করেছিলেন। যে সম্পর্কের কারণে সন্তানের থেকেও কার্যত বিচ্ছেদ ঘটেছিল তার। কিন্তু যাঁর জন্য এত কিছু, সেই প্রেমিকার সঙ্গে মনোমালিন্য মেনে নিতে পারছিল না পেশায় অটোচালক ওই যুবক। তাই সে ঠিক করেছিল, প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে তাঁকে খুন করে আত্মঘাতী হবে।
বাগুইআটি থানা এলাকায় এক মহিলাকে খুনের চেষ্টার ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের দাবি, ধৃত অমিত মজুমদার জেরায় এমনটাই জানিয়েছে। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাগুইপাড়ায় সদ্য বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করা এক মহিলার গলায় ছুরি মারার চেষ্টা করেছিল অমিত। সেই রাতেই সে ধরা পড়ে।
পুলিশ জানায়, অমিতের ওই বান্ধবী বড়তলা থানা এলাকার বাসিন্দা। অমিতের বাড়ি বাগুইআটিতে। অটোচালক অমিতের সঙ্গে আট-ন’বছরের সম্পর্ক ওই মহিলার। তদন্তকারীদের দাবি, অমিত জেরায় জানিয়েছে, তার বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরেই আত্মঘাতী হয়েছিলেন স্ত্রী। তখন ওই দম্পতির ছেলের বয়স মাত্র ১১ মাস। তার পর থেকে অমিতের সন্তান তার এক আত্মীয়ের বাড়িতেই বড় হচ্ছে। পুলিশ জানায়, অমিত দাবি করেছে, সে নিজের রোজগারের সর্বস্ব খরচ করে ফেলেছিল প্রেম টিকিয়ে রাখতে। অমিতের দাবি, বান্ধবীকে প্রসাধনীর ব্যবসা শুরু করার জন্য সে নাকি অনেক টাকাও দিয়েছিল। বাগুইপাড়ার যে বাড়িতে ওই ঘটনা ঘটে, সেখানে বাড়িওয়ালার কাছে অমিত নিজেকে মহিলার স্বামী বলেই পরিচয় দিয়েছিল।
কী ঘটেছিল? পুলিশ জানায়, অমিতের ধারণা হয়েছিল, তার বান্ধবী অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছেন। ওই সন্ধ্যায় অমিত সেই বাড়িতে গেলে মহিলার সঙ্গে তার গোলমাল বেধে যায়। অমিত সঙ্গে একটি ছুরি এনেছিল। ঝগড়া চলাকালীন সে বান্ধবীর গলায় ছুরি মারার চেষ্টা করে। মহিলা ছুরি কেড়ে নিতে গেলে অমিতের হাতে আঘাত লাগে। ছুরির আঘাত লাগে মহিলার গলায় ও গালেও।
পুলিশ জানায়, ছুরিটি খুব ধারাল ছিল না। তদন্তকারীদের দাবি, ঘটনার পরেই অমিত ছুরিটি রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। আপাতত খুনের চেষ্টার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। অমিতের বক্তব্যের সত্যতা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
আক্রান্ত মহিলাকে অবশ্য ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। উত্তর দেননি টেক্সট মেসেজেরও।