যুবক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মৃতিতে একটি সভাকক্ষ ও তাঁর ব্যবহৃত জিনিসপত্র সাধারণের দেখার সুযোগ করে দিতে গ্যালারি তৈরির পরিকল্পনা নিল বিভূতিভূষণ স্মৃতি সংরক্ষণ সমিতি।
শনিবার ব্যারাকপুর স্টেশন সংলগ্ন সুকান্ত সদনে ওই সমিতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলা নাটকের বিশিষ্টজনেরা। মনোজ মিত্র, মেঘনাদ ভট্টাচার্য, অশোক মুখোপাধ্যায়, চন্দন সেন, দেবশঙ্কর হালদারদের মতো যাঁরা বিভূতিভূষণের লেখা গল্পের নাট্যরূপ দিয়েছেন বা নাটকে অভিনয় করেছেন, তাঁরা এ দিন বিভূতিভূষণের সঙ্গে ব্যারাকপুরের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন।
নাট্যকার চন্দন সেন জানান, ব্যারাকপুরের যে আবাসনে তিনি থাকেন তার দু’টি বাড়ি পরেই ছিল ভূতনাথ কুটির, যে বাড়িটিতে ভাড়া থাকতেন বিভূতিভূষণের শ্বশুর ষোড়শী চট্টোপাধ্যায়। বিভূতিভূষণ সেই বাড়িতে এসে বহু বার থেকেছেন, সেখানে বসে একাধিক লেখাও লিখেছেন। সেই বাড়িটি এখন একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। চন্দনবাবু বলেন, ‘‘১৯৪৩ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত বিভূতিভূষণের সঙ্গে ওই বাড়ির যোগাযোগ ছিল। দেবযান-সহ অনেক গল্প লেখা তিনি শুরু করেছিলেন এই বাড়িতে বসে। অথচ আজ তার স্মৃতিচিহ্নটুকুও নেই।’’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত, এলাকার বিধায়ক তথা চিত্র পরিচালক রাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘যে বাড়িতে বিভূতিভূষণ এসে থেকেছেন, সেখানে তাঁর নামে কিছু করার মতো জায়গা নেই। এমনকি সেখানে রাস্তাটির
নামও মঙ্গল পাণ্ডে সরণি। তা বদলানোর কোনও মানে হয় না। তাই নতুন করে কিছু করতে চাইছি আমরা। যাতে বিভূতিভূষণের সঙ্গে ব্যারাকপুরের সম্পর্ক মানুষ জানতে পারেন।’’