—প্রতীকী ছবি।
এক গয়না প্রস্তুতকারী সংস্থার অফিসে অগ্নিকাণ্ডের জেরে বুধবার কসবায় উত্তেজনা ছড়াল। আগুন দেখে ভয়ে রাস্তায় নেমে আসেন আশপাশের হোটেলের কর্মী এবং বাড়ির বাসিন্দারা। কেউ হতাহত না হলেও আগুন নেভাতে গিয়ে ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন এক দমকল কর্মী। তাঁকে বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে এক দিনের জন্য তাঁকে নজরদারিতে রাখা হবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন রাজডাঙা মেন রোডের ১৬৫ নম্বর বাড়ির তিনতলায় আগুন লাগে। পাঁচতলা ওই বাড়িটির নীচের দু’টি তলে একটি মোটরবাইকের শো-রুম রয়েছে। উপরের তিনটি তলে গয়না প্রস্তুতকারী সংস্থার অফিস। তবে সকালের দিকে ওই বহুতলে নিরাপত্তারক্ষীরা ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ তিনতলা থেকে ধোঁয়া বার হতে দেখে থানায় ফোন করেন পাশের হোটেলের কর্মীরা। পুলিশই দমকলকে খবর দেয়। এর পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দমকলের চারটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। প্রায় ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
দমকল সূত্রের খবর, ধোঁয়ার কারণে প্রথমে ওই বহুতলের ভিতরে ঢুকতে সমস্যা হচ্ছিল দমকল কর্মীদের। তখনই ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রগতি ময়দান ফায়ার স্টেশনের আধিকারিক, বছর পঁয়তাল্লিশের দেবব্রত চক্রবর্তী। দমকল ও পুলিশকর্মীরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এর পরে ধোঁয়া বার করে দিতে তিনতলার দেওয়ালের কাচ ভাঙতে শুরু করেন দমকলকর্মীরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক দমকলকর্মীর দাবি, ‘‘কাচগুলো ভেঙে ফেলায় সুবিধা হয়েছে। উল্টো দিকেই পেট্রোল পাম্প। আগুন ছড়িয়ে পড়লে সমস্যা হত।’’
প্রাথমিক ভাবে দমকলের অনুমান, তিনতলার অফিসের কম্পিউটার বা বাতানুকূল যন্ত্রে শর্ট-সার্কিট থেকে এই আগুন। তবে ওই বহুতলের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিকঠাক ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কসবা থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সবই ছিল দেখলাম। সময়ে সেগুলো কাজ করেছিল কি না, তা দেখে দমকল রিপোর্ট দেবে। ক্ষয়ক্ষতি বলতে কিছু কাগজ পুড়ে গিয়েছে। দমকলের জলে শো-রুমে রাখা গাড়িগুলো ভিজে গিয়েছে। সেগুলো শুকিয়ে নেওয়া যাবে।’’