এই দোতলা বাড়িতে আগুন লাগে প্রদীপের শিখা থেকে। সোমবার, মানিকতলায়। —নিজস্ব চিত্র।
মানিকতলা অঞ্চলের চালতাবাগানে একটি জরাজীর্ণ বাড়িতে আগুন লাগল সোমবার। এ দিন দুপুরের এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। দমকলের চারটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। আগুন থেকে জিনিসপত্র বাঁচাতে গিয়ে পড়ে জখম হয়েছেন এক জন। প্রাথমিক ভাবে দমকল বিভাগ জেনেছে, প্রদীপ থেকে বাড়িটিতে আগুন লেগেছিল।
মধ্য কলকাতার আর পাঁচটি পুরনো বাড়ির মতোই ছিল পুড়ে যাওয়া এই বাড়িটি। ঘিঞ্জি গলির ভিতরে টিন, বাঁশ ও টালি দিয়ে তৈরি ছিল দোতলা বাড়িটি। এ দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ সেখানে আগুন লাগলে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। বাড়িটির দু’টি তলায় ছোট ছোট ঘরে বসবাস করে সাত থেকে আটটি পরিবার। একতলায় একটি সংস্থার অফিসও রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ দিন দুপুরে আগুন যখন লাগে, তখন বাড়ির বেশির ভাগ বাসিন্দাই বাইরে ছিলেন। দু’-এক জন যাঁরা বাড়িতে ছিলেন, দ্রুত বাইরে বেরিয়ে আসেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন রীতা সিংহ নামে এক বাসিন্দার ঘরে প্রদীপ জ্বলছিল। তা থেকেই আগুন লাগে। রীতা জানান, পুজো করার সময়ে তিনি প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন। সেই আগুন কোনও ভাবে আশপাশের কাপড়ে লেগে যায়। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা সবাই খুব গরিব। আমি লোকের বাড়িতে কাজ করি। এ দিন কাজ করতেই গিয়েছিলাম। তখনই ফোনে খবর পাই, ঘরে আগুন লেগেছে। এসে দেখি, দাউদাউ করে ঘর জ্বলছে। টাকা, কাগজপত্র, সব পুড়ে গিয়েছে।’’
এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িটির আশপাশে কেব্লের জঙ্গল। বাড়িটিও তৈরি হয়েছে বাঁশ, চট, টিন দিয়ে। বাইরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে প্লাস্টিক, ত্রিপল। দমকলকর্মীরা জানান, দাহ্য পদার্থে আগুন লাগায় সব পুড়ে গিয়েছে। তবে ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও ঘিঞ্জি গলির ভিতরে ঢুকে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে প্রথমে সমস্যায় পড়েন দমকলকর্মীরা। এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ির মধ্যে দিয়ে জলের পাইপ নিয়ে গিয়ে আগুনে জল দিতে হয় তাঁদের। তাতেই ক্রমে আগুন আয়ত্তে আসে।