শরাফ হাউসের চার তলা থেকে উদ্ধার দগ্ধ দেহ। ছবি: সংগৃহীত।
রাজভবনের অদূরে শরাফ হাউসে আগুন লেগেছিল বুধবার সকালে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেখান থেকে এক ব্যক্তির দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করা হল।দমকলের ডিজি রণবীর কুমার দেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম শ্যামসুন্দর সাহা (৬৬)। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। বুধবার থেকে ওই প্রৌঢ় নিখোঁজ ছিলেন বলে হেয়ার স্ট্রিট থানায় জানিয়েছিল একটি বেসরকারি সংস্থা। অবসরগ্রহণের পরও ওই সংস্থায় কাজ করতেন প্রৌঢ়। দেহের পাশ থেকে আংশিক পুড়ে যাওয়া ‘ড্রাইভিং লাইসেন্স’-এর নথি উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর পরিবারকে এই ঘটনা জানানো হয়েছে।
দমকল সূত্রে খবর, শরাফ হাউসের আগুন বুধবার দুপুরেই নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। কিন্তু ওই বহুতলের একটি অংশে কিছুতেই পৌঁছতে পারছিল না দমকল। সেখানে তখনও আগুন জ্বলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে বহুতলের ওই অংশে আগুন নেভানো এবং জায়গাটি ঠান্ডা করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল। তখনই জানা যায়, এক ব্যক্তি অগ্নিকাণ্ডের সময় থেকে নিখোঁজ। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ দেহ উদ্ধার করা হয়।
শরাফ হাউসের চার তলায় আগুন লেগেছিল। সেখান থেকেই দেহটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর। আগুনেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ তাঁর দেহের অধিকাংশ পুড়ে গিয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ রাজভবনের কাছে বিবাদী বাগ চত্বরের শরাফ হাউসের উপরের তলে আগুন লেগে যায়। কম সময়ের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আকাশ। আতঙ্কে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন এলাকার বাসিন্দারা। রাজভবন থেকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও রাস্তায় নেমে পড়েছিলেন। তিনি আগুন নেভানোর কাজে তদারকি করছিলেন। এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। দমকলের মোট ১৪টি ইঞ্জিনের দীর্ঘ ক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দুপুর দেড়টা নাগাদ দমকল জানায়, আগুন পুরোপুরি আয়ত্তে। তার এক দিন পর দগ্ধ বাড়ি থেকেই মিলল দগ্ধ দেহ।