—প্রতীকী চিত্র।
হস্টেলের ঘরে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এক কলেজছাত্রীর। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম নন্দিতা লাহা (১৮)। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ নিজের ঘরেই তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ মেলে। নন্দিতা দক্ষিণ কলকাতার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দিতার বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের বুথঘেরা এলাকায়। আলিপুরের জাজেস কোর্ট রোডে মেয়েদের একটি হস্টেলে থাকতেন তিনি। আরও দু’জন ছাত্রীর সঙ্গে একটি ঘরে থাকতেন নন্দিতা। তবে, বাকি দু’জনের ছুটি চলায় নন্দিতা বৃহস্পতিবার ঘরে একাই ছিলেন। এ দিন সকালে অনেক ক্ষণ ধরে ডাকাডাকির পরেও নন্দিতা ঘরের দরজা না খোলায় হস্টেল কর্তৃপক্ষ পুলিশ ডাকেন। আলিপুর থানার পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে দেখে, চাদরের সাহায্যে গলায় ফাঁস দিয়ে সিলিং থেকে ঝুলছেন নন্দিতা। এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন। ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রীর ঘর থেকে যে সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে, তাতে লেখা আছে, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ইচ্ছে ছিল না নন্দিতার। তিনি চেয়েছিলেন সাহিত্য নিয়ে পড়তে। ওই হাতের লেখা নন্দিতারই কি না, তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। মৃতার মা-বাবাকে ফোনে খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় কোনও তরফেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। দেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।