তিন দফায় ১৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকেরা। —প্রতীকী চিত্র।
ফের ‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’র ভয় দেখিয়ে শহরের এক দম্পতিকে প্রতারণার অভিযোগ উঠল। ওই দম্পতি জানিয়েছেন, তাঁদের প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জালিয়াতেরা। সব জানিয়ে গড়িয়াহাট থানার দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। তদন্ত শুরু করেছে লালবাজারের সাইবার শাখা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী দম্পতির নাম শুভাশিস রায় এবং চন্দ্রা রায়। তাঁদের বাড়ি গড়িয়াহাটের গোলপার্কে। দম্পতির অভিযোগ, গত ১৯ ডিসেম্বর তাঁদের কাছে একটি ফোন আসে। ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি ওই দম্পতিকে বলে, তাঁরা ক্রেডিট কার্ডে দেড় লক্ষ টাকার জিনিস কিনে বিল মেটাননি। তাঁদের আরও জানানো হয়, ঘটনার তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশ।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, এর কিছু ক্ষণ পরেই দিল্লি পুলিশের নাম করে দম্পতিকে ফোন করে প্রতারকেরা। দফায় দফায় ফোন করা হয় ইডি, সিবিআইয়ের নাম করেও। এমনকি, তাঁদের নথি ব্যবহার করে কয়েক কোটি টাকার জালিয়াতি করা হয়েছে বলেও ভয় দেখানো হয়। এ ভাবেই তিন দফায় ১৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকেরা।
চন্দ্রা জানান, ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারির মধ্যে বেশ কয়েক বার তাঁদের কাছে ফোন এসেছিল। ২৬ ডিসেম্বর ১৩ লক্ষ টাকা, ২৭ ডিসেম্বর সাড়ে তিন লক্ষ টাকা এবং ২ জানুয়ারি ৫০ হাজার টাকা হাতায় অভিযুক্তেরা। চন্দ্রার কথায়, ‘‘ওই টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট, ইডি, সিবিআই বলায় আমরা বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু টাকা পাঠানোর পরেই যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের সন্দেহ হয়। প্রতিবেশীদের সব জানালে তাঁরা থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন।’’
গত ৭ জানুয়ারি গড়িয়াহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই দম্পতি। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সাড়ে তিন লক্ষ টাকা উদ্ধার করা গিয়েছে। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘কোন কোন অ্যাকাউন্টে প্রতারণার ওই টাকা গিয়েছে, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।’’