Chaos

যাত্রী তোলা নিয়ে বচসা, বাসকর্মীদের ‘পেটালেন’ অটোচালকেরা

অভিযোগ, বাসগুলি রাস্তা থেকে যাত্রী তুললেই এলাকার অটোচালকেরা বাসকর্মীদের হুমকি, গালাগালি দেন। এ দিন অবশ্য মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তাঁদের আক্রমণাত্মক আচরণ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২২ ০৫:৩৪
Share:

সোমবার দুপুরে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার কোচপুকুর এলাকার ঘটনা। অভিযোগের তির একদল অটোচালকের দিকে। প্রতীকী ছবি।

শুধুই চোখরাঙানি নয়। দল বেঁধে এসে লোহার রড ও বাঁশ দিয়ে বাসকর্মীদের রীতিমতো মারধরের অভিযোগ উঠল। গুলি করে খুনেরও হুমকি দেওয়া হল বাসমালিকদের। সোমবার দুপুরে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার কোচপুকুর এলাকার ঘটনা। অভিযোগের তির একদল অটোচালকের দিকে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত নিউ টাউন লাগোয়া কেষ্টপুরের মিশনবাজার মোড়ে। সঙ্কীর্ণ ও অতি জনবহুল ওই রাস্তায় বাস চললেও রয়েছে অটোর প্রবল দাপট। অভিযোগ, বাসগুলি রাস্তা থেকে যাত্রী তুললেই এলাকার অটোচালকেরা বাসকর্মীদের হুমকি, গালাগালি দেন। এ দিন অবশ্য মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তাঁদের আক্রমণাত্মক আচরণ।

কী ঘটেছিল?

Advertisement

ওই রাস্তা দিয়ে কোচপুকুর-হাওড়া রুটের ১২সি/২ নম্বর বাস চলাচল করে। সেই রুটের বাসকর্মীরা জানান, এ দিন মিশনবাজার এলাকার একটি অটোয় উঠেছিলেন এক মহিলা। বাস দেখে তিনি অটো থেকে নেমে বাসে উঠে পড়েন। বাসকর্মীদের অভিযোগ, মহিলা বাসে ওঠায় অটোচালকেরা তাঁদের গালিগালাজ করতে থাকেন। শুধু তা-ই নয়, ওই বাসের কন্ডাক্টর সমীরণ মণ্ডলকেও মারধর করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, এর পরে খানিকক্ষণ পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকলেও ধীরে ধীরে সব থেমে যায়। বাসটিও কোচপুকুর স্ট্যান্ডে চলে যায়।

অভিযোগ, এর খানিক বাদে ৪০-৫০ জন অটোচালক কোচপুকুরের ওই বাসস্ট্যান্ডে চড়াও হন। অসীমকুমার গুহ নামে এক বাসমালিক জানান, অটোচালকদের হাতে বাঁশ ও রড ছিল। তা দিয়ে বাসকর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয়। শম্ভু সিংহ ও শম্ভুনাথ ঘোষ নামে দুই বাসচালকের মাথায় আঘাত করা হয়। মারধর করা হয় স্ট্যান্ডের স্টার্টার মণীশ দেবনাথকেও। মণীশ বলেন, ‘‘কোনও যাত্রী যদি বাসে উঠে পড়েন, তা হলে তাঁকে নামানো সম্ভব নয়। সব সময়েই ওই অটোচালকেরা এমন গা-জোয়ারি করেন। আজ দু’দফায় আমাদের মারধর করা হয়েছে।’’ ঘটনার পরে মিশনবাজার এলাকায় রাস্তা অবরোধ করেন ১২সি/২ রুটের মালিক ও বাসকর্মীরা। তাঁরা বাস পরিষেবা বন্ধ রাখবেন বলে প্রকাশ্যেই ঘোষণা করে দেন। পরে অবশ্য বিধাননগর পুরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর বিনু মণ্ডল-সহ প্রশাসনের তরফে হামলাকারীদের গ্রেফতার করার আশ্বাস দেওয়া হলে সেই সিদ্ধান্ত তাঁরা প্রত্যাহার করে নেন।

এই সমস্ত অটো স্ট্যান্ড সাধারণত শাসকদল তৃণমূলের তরফেই নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কাউন্সিলর বিনু বলেন, ‘‘এই ঘটনার পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আপাতত ওই রুটে কোনও অটো চলতে দেব না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement