সহকর্মীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ জানিয়ে সাড়ে চার বছর ধরে আইন-আদালত করে চলেছেন এক কলেজশিক্ষিকা। প্রতীকী ছবি।
সহকর্মীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ জানিয়ে সাড়ে চার বছর ধরে আইন-আদালত করে চলেছেন এক কলেজশিক্ষিকা। কিন্তু, এখনও তিনি কোনও সুরাহা পাননি বলে অভিযোগ। প্রথমে কলেজের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি (আইসিসি), তার পরে কলকাতা হাই কোর্টের একক বেঞ্চ হয়ে ডিভিশন বা যৌথ বেঞ্চ পর্যন্ত চলছে সেই মামলা।
হাই কোর্টের খবর, গত তিনটি মঙ্গলবারে ওই শিক্ষিকার মামলা শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছিল। কিন্তু, নানা কারণে সেই দিনগুলিতে আদালতে স্বাভাবিক কাজ হয়নি। আবার, সম্প্রতি কর্মবিরতির জেরে স্বাভাবিক কাজ হয়নি হাই কোর্টের বেশির ভাগ এজলাসে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ২০১৮ সালে ওই শিক্ষিকার অভিযোগ জমা পড়েছিল কলেজের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটির কাছে। যার ভিত্তিতে কমিটি অভিযুক্ত শিক্ষককে কলেজের পরীক্ষা-সহ বিভিন্ন বিষয় থেকে সরিয়ে দিতে বলে। ওই শিক্ষক হাই কোর্টে মামলা করেন। তার ভিত্তিতে ২০২১ সালে পুরনো অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটির বদলে নতুন কমিটি গঠন করতে বলেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। ওই বছরেই বিচারপতি সিংহের নির্দেশের বিরুদ্ধে অভিযোগকারিণী শিক্ষিকা আপিল মামলা করেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি কেশাং ডোমা ভুটিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে। ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি সিংহের সংশ্লিষ্ট নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ দেয়। তার পরেও এক বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু মামলার ফয়সালা হয়নি।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে অন্য কয়েক জন সহকর্মীর কাছ থেকে অনভিপ্রেত ব্যবহার পেয়েছেন ওই শিক্ষিকা। তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনেও (ইউজিসি)। অভিযোগ, আইসিসি-র রিপোর্টের ভিত্তিতে ইউজিসি পদক্ষেপ করতে বলা সত্ত্বেও কলেজ কর্তৃপক্ষ তা করেননি। এই পরিপ্রেক্ষিতে ইউজিসি ওই কলেজের বিরুদ্ধে অনুমোদন বাতিল-সহ নানা ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। কিন্তু, তার পরেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ করেননি।