অভিযোগ, এর পরেই পাঁচটি দেহ পাঠানো হয়। কর্মশালায় অস্ত্রোপচারের পরে বিকেলে দেহগুলি মর্গে ফেরত আসে। ফাইল ছবি।
ময়না তদন্তের জন্য আসা দেহ মৃতের পরিবার বা পুলিশের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহার করা যায় না। কিন্তু আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে তেমনটাই ঘটেছে বলে অভিযোগ। হাসপাতালের একাংশের দাবি, ময়না তদন্তের আগেই মর্গ থেকে পাঁচটি দেহ পাঠানো হয়েছিল নাক-কান-গলা বিভাগের কর্মশালায়। প্রত্যেকের পায়ের ট্যাগেও ছিল ক্রমিক সংখ্যা!
সোমবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক বেধেছে। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, ‘‘অধ্যক্ষকে ডেকে কথা বলেছি। রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।’’ তবে, মৃতদের পরিবারের কোনও অভিযোগ পাননি বলেই দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ বলেন, ‘‘মৃতদের পরিজনদের অভিযোগ এলে তদন্ত হবে। কর্মশালায় ময়না তদন্তের দেহ ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানা নেই।’’
গত ২১ ডিসেম্বর ‘দি অ্যাসোসিয়েশন অব ওটোল্যারিঙ্গোলজিস্টস অব ইন্ডিয়া’র রাজ্য শাখা আর জি করের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক সোমনাথ দাসকে চিঠি পাঠায়। তাতে ৫ জানুয়ারি ইএনটি বিভাগের কর্মশালায় দেহ পাঠানোর আবেদন করা হয়। যদিও তা নাকচ করে দেন সোমনাথ। ৩০ ডিসেম্বর ইএনটি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক অধ্যক্ষের কাছে ছ’টি দেহ চান। জানা যাচ্ছে, অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ বিষয়টি দেখতে বলেন ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের নতুন প্রধান চিকিৎসক প্রবীর চক্রবর্তীকে।
অভিযোগ, এর পরেই পাঁচটি দেহ পাঠানো হয়। কর্মশালায় অস্ত্রোপচারের পরে বিকেলে দেহগুলি মর্গে ফেরত আসে। পরদিন ময়না তদন্ত করে পরিজনদের দেওয়া হয়। এ বিষয়ে মন্তব্য করেননি প্রবীর। অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কেউ মিথ্যা রটালে সেটির দায় তাঁর।’’