যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘সংস্কৃতি’ উপলক্ষে ক্যাম্পাসের ‘গ্রিন জ়োন’-এ বক্স বাজিয়ে অনুষ্ঠান করা নিয়ে বিতর্ক বেধেছে।
অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেট দিয়ে ঢুকে বাঁ দিকের গ্রিন জ়োনে, খোলা আকাশের নীচে, বুধবার একাধিক সাউন্ড বক্স এবং আলো সহযোগে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উদ্যোক্তাদের দাবি ছিল, ক্লাসের শেষে সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হবে। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, তার অনেক আগেই অনুষ্ঠানের কাজ শুরু হয়ে যায়। এর সঙ্গে ক্যাম্পাসের চার নম্বর গেট থেকে একটু দূরে বসা বিভিন্ন পসরার স্টল নিয়েও আপত্তি উঠেছে। ক্যাম্পাসের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা সঞ্জীব প্রামাণিক বুধবার বলেন, ‘‘এর আগে ক্যাম্পাসে স্টল বসানোয় এরাই আপত্তি করেছিল! এখন এ সব হচ্ছে। গ্রিন জ়োনে বক্স বাজিয়ে অনুষ্ঠানও করছে।’’
এসএফআই নেতৃত্বাধীন কলা বিভাগের ছাত্র সংসদের বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক শুভায়ন আচার্য চৌধুরীর অবশ্য দাবি, অনুষ্ঠান করার অনুমতি তাঁদের আছে। সন্ধ্যা ৬টার পরে ক্লাস শেষ হলে অনির্বাণ ভট্টাচার্যের অনুষ্ঠান-সহ কিছু অনুষ্ঠান গ্রিন জ়োনে করতে উদ্যোগী হয়েছেন তাঁরা। ৯০-এর দশকে গ্রিন জ়োনে এমন অনুষ্ঠান হয়েছে বলেও শুভায়নের দাবি।
সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এ দিন জানান, ওপেন এয়ার থিয়েটারে (ওএটি) ‘সংস্কৃতি’র জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গ্রিন জ়োনে অনুষ্ঠানের অনুমতি কখনওই দেওয়া হয়নি। তিনি জানান, গ্রিন জ়োনে অনুষ্ঠানের বিষয়ে তিনিও অভিযোগ পেয়েছেন। ক্যাম্পাসে বিতর্কের শেষ হচ্ছে না। তাই ক্যাম্পাসে কী কী করা যাবে এবং কী কী করা যাবে না, তা নিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি তাঁরা বৈঠকে বসবেন। ক্যাম্পাসের পড়ুয়াদের একাংশের অবশ্য দাবি, এই গ্রিন জ়োনেই কিছু দিন আগে মদ ও মাদক সেবনের অভিযোগে ধরা পড়েছিলেন কয়েক জন। রাতে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি এ রকমই হয়। তা হলে সেখানে অনুষ্ঠান হলে আপত্তি কেন?
ক্যাম্পাসে স্টল দেওয়া নিয়ে এ দিন শুভায়ন বলেন, ‘‘অনুষ্ঠানের স্পনসররাই স্টল দেন। আগামী কাল থেকে ওএটি-তে সব অনুষ্ঠান হবে। ও দিকেই সব স্টল নিয়ে যাওয়া হবে।’’