—প্রতীকী চিত্র।
পুজোর মধ্যেই থানার ব্যারাক চত্বরে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অর্ণব চট্টোপাধ্যায় (২৭)। তাঁর বাড়ি সরশুনা থানা এলাকার সরকার হাট লেনে। সরশুনা থানাতেই সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন অর্ণব। তাঁর বাবা কলকাতা পুলিশের একটি থানার সাব-ইনস্পেক্টর। ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ পঞ্চমীর দিন ঘটলেও ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হয় শনিবার, সপ্তমীর রাতে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত পঞ্চমীর দিন দুপুরে। সে দিন থানায় ডিউটি ছিল অর্ণবের। দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ তিনি ব্যারাক চত্বরে থাকা শৌচাগারে যান। কিছু ক্ষণ পরে অন্য পুলিশকর্মীরা অর্ণবকে শৌচাগারের বাইরে বমি করতে দেখেন। তাঁর মুখ থেকে গ্যাঁজলাও বেরোচ্ছিল। যা দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। কিন্তু ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে জিজ্ঞাসা করা হলেও তিনি কিছু বলতে পারেননি। তখন অন্য পুলিশকর্মীরা প্রথমে অর্ণবের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পাশাপাশি, তাঁর জামার পকেট থেকে উদ্ধার হয় একটি কার্বলিক অ্যাসিডের বোতল। প্রথমে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান থানার পুলিশকর্মীরা। পরে অর্ণবের পরিবারের সদস্যেরা তাঁকে বেহালার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। সেখান থেকে বৃহস্পতিবারই অর্ণবকে নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসা চলাকালীন শনিবার ওই হাসপাতালে মারা যান তিনি।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে, মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। তদন্তকারীদের অনুমান, কার্বলিক অ্যাসিড খাওয়ার ফলেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে এই ঘটনায় সোমবার রাত পর্যন্ত মৃতের পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি পুলিশের কাছে।