Complaint Against Councillor

গির্জার অধীনে থাকা নার্সিং কলেজে ‘দাদাগিরি’ তৃণমূল কাউন্সিলরের, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি খ্রিস্টান সংগঠনের

যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই তৃণমূল কাউন্সিলরের পাল্টা বক্তব্য, পুকুর বুজিয়ে নির্মাণকাজ চালানো হচ্ছিল। তিনি বাধা দেওয়ায় মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪ ১৭:৩৪
Share:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি খ্রিস্টান সংগঠনের। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

খাস কলকাতায় গির্জার অধীনে থাকা একটি নার্সিং কলেজের জমিতে ‘দাদাগিরি’ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন খ্রিস্টান চার্চ সংগঠন ‘ডায়োসেস অফ ক্যালকাটা’।

Advertisement

বেহালার ডায়মন্ড হারবার রোডে ‘ডায়োসেস অফ ক্যালকাটা’র আওতাধীন সিস্টার ফ্লোরেন্স কলেজ অফ নার্সিং নামের এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সম্প্রতি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হয়। গির্জা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সেই কাজে বাধা দিচ্ছেন কলকাতা পুরসভার ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা ১৫ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান সুদীপ পোল্লে এবং তাঁর দলবল। কাউন্সিলরের পাল্টা অভিযোগ, নার্সিং কলেজ লাগোয়া পুকুর বুজিয়ে অবৈধ নির্মাণ চালানো হচ্ছে। তাতে বাধা দেওয়ার কারণেই মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে ‘ডায়োসেস অফ ক্যালকাটা’র প্রতিনিধি তথা ওই গির্জার সংগঠন রাঘব নায়েক বলেন, “আমরা আমাদের জায়গাতেই কিছু ঘরের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছিলাম। ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দলবল এসে কাজে বাধা দেয়। কাউন্সিলর নিজে না এলেও বলে পাঠান যে, আমাদের উচ্চতর কর্তৃপক্ষ যেন ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে।” কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে গির্জার অধীনস্থ একটি মাঠও দখল করার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন রাঘব।

Advertisement

যাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, সেই তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ অবশ্য পাল্টা বলেন, “পুকুর বুজিয়ে নির্মাণকাজ চালানো হচ্ছিল। পুরসভা নোটিস পাঠিয়েছে। গির্জা কর্তৃপক্ষ আসল কাগজ দেখাতে পারেননি।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “আমি কাউন্সিলর, আমি দেখব না কোথায় অবৈধ নির্মাণকাজ হচ্ছে? মিথ্যা অভিযোগ করে লাভ নেই। জমির কাগজ দেখাতে পারেননি বলেই কাজ থমকে গিয়েছে।”

কাউন্সিলর আরও জানিয়েছেন, অভিযোগের কথা শুনেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম তাঁকে ফোন করেছিলেন। সুদীপের দাবি, তিনি মেয়রকে ওই প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় অনিয়মের কথা সবিস্তারে জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “এক বছর আগেই পুরসভা ওই নার্সিং কলেজে কাজ বন্ধের নোটিস দিয়েছিল। আইনি পথে না পেরে এখন মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। বিশপ এত কথা বলছেন। আমার প্রশ্ন, উনি যদি অন্যায় কিছু করে না থাকেন, তবে একাধিক বার আমাকে রফা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন কেন?”

কাউন্সিলরের মুখে পুকুর বোজানোর অভিযোগ শুনে গির্জা কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। তাঁরাই বরং পুকুরটির সৌন্দর্যায়ন করেন বলে দাবি করেছেন গির্জা কর্তৃপক্ষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement