ফোন করে শাসানি তো চলছেই, বাড়িতে দলবল পাঠিয়েও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।
জমি হাতানোর চেষ্টা শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে। কিন্তু তা সফল হয়নি। এ বার তাই মরিয়া দুষ্কৃতীরা হুমকি দিয়ে বলেছে, জমি না বেচলে খোয়াতে হতে পারে প্রাণ। অর্থাৎ, সরাসরি খুনের হুমকি। পিকনিক গার্ডেনের বন্ডেল সেতু এলাকার বাসিন্দা, পেশায় মাংসের ব্যবসায়ী এক ব্যক্তি সম্প্রতি এমনই অভিযোগ করেছেন কসবার দাগি দুষ্কৃতী সোনা পাপ্পু ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় কসবা থানার পাশাপাশি তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন লালবাজারেও।
মহম্মদ আজিজ নামে ওই ব্যবসায়ী বুধবার জানিয়েছেন, স্ত্রী ও ছেলের পাশাপাশি তাঁর পরিবারে অন্য সদস্যেরাও রয়েছেন। সেই কারণে সর্বক্ষণই আতঙ্কে রয়েছেন তিনি। থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে ওই ব্যবসায়ী দাবি করেছেন, বন্ডেল সেতুর কাছে তাঁর একটি জমি আছে। গত কয়েক দিন ধরে সেই জমি জলের দরে বিক্রি করে দিতে নানা ভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, খুব সামান্য দামের বিনিময়ে ওই জমি ছেড়ে দিতে হবে। ফোন করে শাসানি তো চলছেই, বাড়িতে দলবল পাঠিয়েও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এলাকাছাড়া করার হুমকির পাশাপাশি প্রাণে মারার ভয় দেখানো হয়েছে বলেওদাবি ওই ব্যবসায়ীর।
মহম্মদ আজিজ বলেন, ‘‘২০১৭ সাল থেকেই আমার জমি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে নানা ভাবে। কিন্তু ইদানীং সোনা পাপ্পু ও তার দলবল আমাকে হুমকি দিচ্ছে। কখনও ফোন করছে, কখনও আবার বাড়িতে চড়াও হয়ে ওর শাগরেদরা শাসিয়ে যাচ্ছে। ওদের দাবি মেনে না নিলে পরিবার-সহ আমাকে খুন করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছে।’’ তাঁর অভিযোগ,সোনা পাপ্পু নিজেই ফোন করে সেই হুমকি দিয়েছে।
আতঙ্কে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই ব্যক্তি। এই ঘটনায় বক্তব্য জানতে সোনা পাপ্পুকে ফোন করা হলেও সে ধরেনি। জবাব আসেনি মেসেজের। ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। লালবাজারের এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
প্রসঙ্গত, কসবা এলাকায় বিভিন্ন সময়ে একাধিক দুষ্কর্মে নাম জড়িয়েছে সোনা পাপ্পুর। একাধিক বার গ্রেফতারও হয়েছে সে। মাসকয়েক আগেই সোনা পাপ্পুকে গ্রেফতার করেছিল লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখা। কয়েক সপ্তাহ আগেই জেল থেকে ছাড়া পায় সে। অভিযোগ, জেল থেকে বেরিয়েই ফের আগের রূপ ধারণ করেছে সোনা পাপ্পু।