প্রতীকী ছবি।
ব্যাঙ্কেরই ঠিকাকর্মীর মদতে সার্ভারে হানা দিয়ে ৪৫ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় সাত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে লালবাজার। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এক ঠিকাকর্মীও।
গত ১১ নভেম্বর ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সিআইটি রোড শাখার তরফে পুলিশে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওই অভিযোগে বলা হয়, তাদের শাখার একাধিক গ্রাহকের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত মোবাইল নম্বর বদলে প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এর পরেই তদন্তে নেমে লালবাজারের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ঘটনার পিছনে রয়েছে ব্যাঙ্কেরই কোনও কর্মী। যার মদতে সিআইটি রোড শাখার ওই ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলে অভিযুক্তেরা। সেই কর্মীর সাহায্যে এক আধিকারিকের অফিশিয়াল আইডি ও পাসওয়ার্ড নিয়ে ব্যাঙ্কের পোর্টালে লগইন করে তারা।
পুলিশের দাবি, তদন্তে জানা যায় পোর্টাল বা সার্ভারে ঢুকে একের পর এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে হানা দেয় অভিযুক্তেরা। অ্যাকাউন্টের দখল নিয়েই গ্রাহকের মোবাইল নম্বর-সহ বিভিন্ন তথ্য বদলে দেয়। এক পুলিশকর্তা জানান, গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টের তথ্যে মোবাইল নম্বর এবং ইমেল পালটে দেওয়া হত, যাতে তাঁর অ্যাকাউন্টের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য কোথাও না যেতে পারে। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, জালিয়াতদের তরফে যে দু’জন ওই শাখায় অ্যাকাউন্ট খুলেছিল, তারা প্রথমে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে সেখানে জমা করত। পরে অন্য দুই ধৃত জালিয়াতের অ্যাকাউন্টে সেই টাকা সরিয়ে নেওয়া হত।
গোয়েন্দাদের দাবি, এর আগে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে বা সেই অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত ফোন নম্বর বা ইমেল বদলে জালিয়াতি হয়েছে। এ বারই প্রথম অভিযুক্তেরা ব্যাঙ্ক আধিকারিকের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড ও আইডি হ্যাক করে ব্যাঙ্কের সার্ভারের দখল নিল।
তদন্তকারীরা আরও দাবি করছেন, গ্রেফতার হওয়া সাত জন ছাড়াও আরও অনেকে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। ওই ব্যাঙ্কের আরও কোনও কর্মীর যুক্ত থাকার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা।