প্রতীকী ছবি।
একই দিনে দু’টি পৃথক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল পাঁচ মোটরবাইক আরোহীর। একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে মহেশতলার সম্প্রীতি উড়ালপুলে, অন্যটি বাটা কারখানার কাছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ভোরে সম্প্রীতি উড়ালপুলে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মারে একটি মোটরবাইক। ধাক্কার অভিঘাতে প্রায় ৩০ ফুট দূরে ছিটকে পড়েন বাইকের চালক ও আরোহী। প্রথমে তাঁদের বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা দু’জনকে মৃত বলে জানান। মৃতদের নাম অমিত ঝা (২৩) ও অবিনাশ সিংহ (২২)।
স্থানীয় সূত্রের খবর, অমিত ও অবিনাশের বাড়ি মহেশতলা থানার মোল্লার গেট এলাকায়। দু’জনের কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। বাইকের গতিও ছিল অত্যন্ত বেশি। গাড়িতে ধাক্কা মারার পরে বাইকের সামনের চাকা ছিটকে উড়ালপুল থেকে নীচে এসে পড়ে। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘বিকট শব্দ শুনে ও একটি চাকা নীচে এসে পড়ায় আমরা আন্দাজ করি, উড়ালপুলে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর পরেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, চাকা বিকল হয়ে যাওয়ায় গাড়িটি উড়ালপুলের এক ধারে দাঁড়িয়েছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকটি তাতে ধাক্কা মারে। অমিত এবং অবিনাশ একটি কল সেন্টারে কাজ করতেন। ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া গাড়িটির খালাসি বলেন, ‘‘বিকট শব্দে এসে মোটরবাইকটি ধাক্কা মারে। তার পরেই ছিটকে যায়। পরে পুলিশ এসে আহতদের উদ্ধার করে।’’
এ দিনই বিকেলে বাটা কারখানার কাছে আঠাশতলা এলাকায় একটি স্কুটার ও মোটরবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পুলিশ জানিয়েছে, রাস্তার বাঁক ঘুরতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারান দু’টি গাড়ির চালকই। স্কুটার ও বাইকে মোট চার জন ছিলেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিন জনের। তাঁদের নাম রাহুল আলম (১৭), আমির হামজা (১৭) ও প্রিন্স মিদ্যা (২০)। ইমরান আলি ও ইনজামুল মোল্লা নামে দু’জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বুধবার ওই এলাকায় সব দোকান বন্ধ থাকে। ফলে ফাঁকা রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে মোটরবাইক চালানো কার্যত রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে কিছু চালকের কাছে। এলাকাটি মূল রাস্তা থেকে কিছুটা ভিতরে হওয়ায় পুলিশি নজরদারিও তেমন থাকে না। এ দিন মোটরবাইক ও স্কুটার, দু’টিরই গতি ছিল অত্যন্ত বেশি। কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। চিকিৎসকেরা জানান, মূলত মাথায় গুরুতর চোটের জন্যই তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।