প্রতীকী ছবি।
বাগুইআটি থানা এলাকার জগৎপুরে তৃণমূল কর্মী সঞ্জয় রায়কে গুলি করে হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার পাঁচ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল বারাসত আদালত। উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে বাকি চার অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে। এ দিন এই রায় দেন বিচারক বিজয়েশ ঘোষাল। আগামী ১৩ জুলাই এই মামলায় সাজা ঘোষণা।
সরকারি আইনজীবী সন্দীপ ভট্টাচার্য জানান, ২০১৬-র ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে জগৎপুর সেতুর কাছে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হয় সঞ্জয় ওরফে বুড়োকে। তদন্তে নেমে পুলিশ ন’জনকে গ্রেফতার করে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন বিশ্বজিৎ বিশ্বাস ওরফে বাবাই। তিনি-সহ চার জনের বিরুদ্ধে ঘটনায় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে মামলা হয়। এ দিন চার জনই বেকসুর খালাস পেয়েছেন। দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে বাপি রমন-সহ পাঁচ অভিযুক্তকে।
অভিযুক্তদের তরফে এক আইনজীবী দীপক দে জানান, সরকারপক্ষ যে যথেষ্ট প্রমাণ দাখিল করতে পারেনি, এ দিনের রায় থেকেই তা স্পষ্ট। এই নির্দেশ আসামিপক্ষের কাছেও গ্রহণযোগ্য নয়। রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ঘটনায় সরগরম হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। কারণ, সঞ্জয় এবং বিশ্বজিৎ দু’জনেই সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সেখানে এই ঘটনায় রাজনৈতিক সমীকরণ থাকতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। যদিও সরকারি
আইনজীবী এ দিন জানান, কেস ডায়েরি অনুসারে এর মধ্যে রাজনৈতিক বিষয় নেই। বিশ্বজিতের বাবা, বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ বীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস এ দিন দাবি করেন, ‘‘আমি আগেই বলেছিলাম, মিথ্যা অভিযোগে ছেলেকে ধরা হয়েছিল। এ দিন সেটাই প্রমাণিত হল।’’
কেন চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ পেশ করা গেল না? এ নিয়ে পুলিশের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এক পুলিশকর্তা জানান, রায়ের প্রতিলিপি না-পেয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।