—ফাইল চিত্র।
অনশন মঞ্চে বৃহস্পতিবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিন জন। শুক্রবার অসুস্থ হলেন আরও চার জন। প্রাথমিক শিক্ষকদের সংগঠন ‘উস্তি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর ওই বিক্ষোভ-অনশন শুরু হয়েছিল গত শুক্রবার। আট দিন পরেও অবশ্য কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি।
ন্যায্য বেতন-সহ আরও কয়েকটি দাবিতে সল্টলেকের বিকাশ ভবনের কাছে ওই অনশন চলছে। সংগঠনের নেত্রী পৃথা বিশ্বাস নিজেও অনশনে বসেছেন। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘অনশনকারীদের প্রত্যেকেরই শরীর ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। রোজই কেউ না কেউ অসুস্থ হচ্ছেন। বিকাশ ভবনের শিক্ষা দফতরের এত কাছে আমাদের এই অনশন মঞ্চ। অথচ, সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বলতে আসেননি। দাবি না মিটলে এই অনশন চলবে।’’
পৃথার দাবি, তাঁদের আন্দোলনের পিছনে জনসমর্থন দিনদিনই বাড়ছে। সমাজের বিশিষ্টদের একটি অংশ তাঁদের অনশন মঞ্চে রোজ আসছেন। লিখিত বিবৃতিতে তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে সরকারের কাছে এর একটা সমাধানসূত্র বার করার আর্জি জানিয়েছেন কবি শঙ্খ ঘোষও। বিধাননগর পুরসভার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে সব্যসাচী দত্ত প্রথমেই এই অনশন মঞ্চে এসে আন্দোলনের প্রতি নৈতিক সমর্থন জানিয়ে গিয়েছেন।
এ দিনও অনশন মঞ্চে দেখা যায়, এক শিক্ষিকা তাঁর দু’বছরের মেয়েকে নিয়ে সেখানে বসেছেন। ওই শিক্ষিকা দুর্গাপুরে থাকেন। তিনি বলেন, ‘‘এইটুকু মেয়ে মাকে ছাড়া কী ভাবে থাকবে? তাই ওকে নিয়েই বিক্ষোভ-অবস্থানে বসেছি।’’ বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, প্রশাসনের তরফে জলের ব্যবস্থাও করা হয়নি। এক বিক্ষোভকারীর দাবি, ‘‘উল্টো দিকের রাস্তায় ২১ জুলাইয়ের বিশাল প্রস্তুতি চলছে। ডিম-ভাত রান্না হবে। আর আমরা সাত দিন না খেয়ে রয়েছি। সরকারের কোনও সহানুভূতিই নেই।’’ এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শিক্ষকদের দাবিদাওয়া নিয়ে ২১ জুলাইয়ের পরে আলোচনায় বসা হবে। এটা আগেই জানানো হয়েছিল।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।