প্রতীকী ছবি।
‘স্যর, আমার বৌকে খুন করেছি!’— বার বার করে থানার ডিউটি অফিসারের কাছে এমন দাবি করছিলেন বছর তিরিশের যুবক। প্রথমে বিষয়টি আমল না দিলেও পরে ওই যুবকের বাড়িতে গিয়ে পুলিশ দেখে, সত্যিই এক মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।
এর পরেই আত্মসমর্পণ করা ওই যুবক রাজকুমার জানাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে পানিহাটির সুভাষনগরের কে সি ঘোষ রোডে। জানা গিয়েছে, ওই বাড়িতে মাস চারেক ধরে ভাড়া থাকছিলেন রাজকুমার। তাঁর সঙ্গে থাকছিলেন বছর চল্লিশের লক্ষ্মী গায়েনও। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, লক্ষ্মীর আগের পক্ষের এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছেন। তাঁরা বিবাহিত। বরাহনগরের ন’পাড়ার বাসিন্দা রাজকুমার দীর্ঘ দিন ধরেই লক্ষ্মীর সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া নিয়ে থাকেন। লক্ষ্মীর ছেলেমেয়েরাও জানেন, তাঁদের একসঙ্গে থাকার বিষয়টি।
এ দিন রাজকুমার প্রথমে মহিলার এক আত্মীয়কে ফোন করে জানান, তিনি শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন লক্ষ্মীকে। পরে খড়দহ থানায় গিয়ে পেশায় গাড়িচালক রাজকুমার একই দাবি করেন। এক পুলিশ আধিকারিক জানাচ্ছেন, ওই যুবকের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মাটিতে পড়ে রয়েছেন মহিলা। গামছা জাতীয় কিছু তাঁর গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করা হয়েছে। যদিও দু’জনের ঝগড়া-অশান্তির আওয়াজ তাঁরা পাননি বলে দাবি করেছেন বাড়িওয়ালা মিতা সাহা। তিনি জানান, বুধবার রাতে রাজকুমারকে ঘরে দেখা যায়নি। ভোরে দেখা যায়, ঘরের সামনে সাইকেল ও জুতো রয়েছে। মিতার কথায়, “তা দেখে ভেবেছিলাম রাজকুমার বাড়িতে এসেছেন। বেশ কিছু ক্ষণ পরে কয়েক জন যুবক ওঁর খোঁজ করতে থাকেন। কিন্তু সেই সময়ে ঘরে রাজকুমার ছিলেন না। ওই যুবকেরা তখন বিষয়টি জানান।”
স্থানীয় সূত্রের খবর, ঠান্ডা স্বভাবের ছেলে রাজকুমার। মাস চারেকের মধ্যে দু’জনের ঝামেলা হতে দেখা যায়নি বলেই দাবি। রাজকুমারই খুনের খবর জানান লক্ষ্মীর ছেলেমেয়েকে। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজকুমারের দাবি, পারিবারিক অশান্তির জেরে এই কাজ করেছেন। খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।