—প্রতীকী চিত্র
অবৈধ নির্মাণ থেকে এক বছরে সাড়ে তিন গুণ বেশি জরিমানা আদায় করল কলকাতা পুর আদালত।
সূত্রের দাবি, ২০১৯ সালে জরিমানা বাবদ ওই আদালতে জমা পড়েছে ৯০ লক্ষ ৭২ হাজারের কিছু বেশি টাকা। ২০১৮ সালে আদায় হয়েছিল ২৩ লক্ষ ১২ হাজার টাকা। ২০১৭ সালে ওই আদায়ের পরিমাণ ছিল ২৫ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা।
পুরসভা সূত্রের খবর, কলকাতা পুর এলাকার অবৈধ নির্মাণ-সহ বিভিন্ন মামলার বিচার হয় নিউ মার্কেট এলাকার পুর আদালতে। সেখানকার বিচারকেরা মামলার শুনানি শেষে জরিমানার পরিমাণ ধার্য করেন। সেই জরিমানা থেকেই গত বছর ওই পরিমাণ টাকা আয় হয়েছে পুরসভার। কলকাতা পুরসভার এক কর্তা জানান, পুর আদালত বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে শুরু করায় বিভিন্ন এলাকার অবৈধ নির্মাণে রাশ টানা যাচ্ছে।
পুরকর্মীদের একাংশ জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের মাঝামাঝি ওই আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট প্রদীপকুমার অধিকারী কাজ শুরু করার পর থেকেই অবৈধ নির্মাণ সংক্রান্ত মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি হচ্ছে সেখানকার চারটি আদালতে। আর তাতেই জরিমানার পরিমাণ সাড়ে তিন গুণ বেড়ে গিয়েছে গত বছর।
আদালত সূত্রের খবর, অবৈধ নির্মাণে মূলত তিন ধরনের জরিমানা করা হয়। কোনও বাড়ির নকশা হয়তো তিনতলা পর্যন্ত অনুমোদন পেয়েছে। কিন্তু পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারেরা ওই বাড়ি পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখলেন, তিনতলার উপরে আরও তিন বা চারতলা
নির্মাণ হয়েছে এবং বাড়তি তলগুলির নকশার অনুমোদন নেই। আবার কোনও নির্মাণের হয়তো পুরোটাই বেআইনি। কোনও নির্মাণের ক্ষেত্রে আবার কাজ বন্ধের নোটিস দেওয়া সত্ত্বেও তা চালিয়ে যাওয়ায় জরিমানা আদায় করেন বিচারকেরা। সে ক্ষেত্রে নোটিস দেওয়ার দিন থেকে জরিমানা জমা পড়ার দিন পর্যন্ত ‘দিন-পিছু’ জরিমানা দিতে হয়।
পুর আদালত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করার পাশাপাশি জরিমানা আদায় যেমন করছে, তেমনই অভিযুক্তদের কারাবাসেরও নির্দেশ দিচ্ছে। পুর আদালতে সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও জরিমানা করছেন বিচারক ইন্দ্রজিৎ দেব, সুমনা গড়াই এবং সৌরভ সুব্বা। অবৈধ নির্মাণে যুক্ত লোকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন তাঁরা। কর্তব্যে গাফিলতি থাকলে বিচারকদের ভর্ৎসনার
মুখে পড়ছেন কলকাতা পুলিশ ও পুরসভার আধিকারিকেরা। বাদ যাচ্ছেন না পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের কর্মীরাও।