Policemen

Policemen Suspended: আসামি পালানোয় সাসপেন্ড ৩ পুলিশকর্মী

রবিবার ভোরে শালিমার জিআরপি থানার লক-আপের নড়বড়ে লোহার গেট ভেঙে পালিয়ে যায় বন্ধুকে খুনের ঘটনায় ধৃত দুই অভিযুক্ত রাজু হাঁড়ি ও শামিরুল মোল্লা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২২ ০৮:৫০
Share:

ফাইল ছবি

শালিমার জিআরপি থানার লক-আপ ভেঙে আসামি পালানোর ঘটনায় এক অফিসার-সহ তিন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হল। সোমবার ওই থানার দায়িত্বে থাকা শিয়ালদহের রেল পুলিশ সুপার বাদানা বরুণ চন্দ্রশেখর বলেন, ‘‘কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে এক জন ডিউটি অফিসার ও দুই পাহারদার সেন্ট্রিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তদন্ত এখনও চলছে। পলাতক আসামিদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।’’

Advertisement

রবিবার ভোরে শালিমার জিআরপি থানার লক-আপের নড়বড়ে লোহার গেট ভেঙে পালিয়ে যায় বন্ধুকে খুনের ঘটনায় ধৃত দুই অভিযুক্ত রাজু হাঁড়ি ও শামিরুল মোল্লা। আদালতের নির্দেশে তাদের চার দিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছিল। তারই মধ্যে দুই আসামির থানা থেকে পালানোর ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায় পুলিশ মহলে। ঘটনার তদন্তে ছুটে আসেন রেল পুলিশের পদস্থ আধিকারিকেরা। প্রশ্ন ওঠে থানার দায়িত্বে থাকা ওসির ভূমিকা নিয়েও। কারণ, রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিআইজি পদমর্যাদার এক পুলিশকর্তার নির্দেশে রাতারাতি পুরনো ওসি-কে বদলি করে নতুন ওসি-কে ওই থানায় নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ, এই বদলির ঘটনা রেল পুলিশের উপরমহলে পৌঁছতেই ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসারকে ওই থানার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার পরের দিনই আসামি পালানোর ঘটনা ঘটে।

রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ওই থানার তিন জনকে সাসপেন্ড করা হলেও তদন্ত চলছে। লক-আপের লোহার গেটে মরচে পড়লেও বা দেওয়ালের পলেস্তারা খসে গেলেও কী করে ওই ভারী লোহার দরজার একাংশ খালি হাতে ভেঙে বেরিয়ে যেতে পারে দুই আসামি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement