প্রতীকী ছবি।
বেপরোয়া গতির জেরে পথ-দুর্ঘটনায় আহত হলেন একটি গাড়ির চালক ও দুই আরোহী। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে শেক্সপিয়র সরণি থানা এলাকার শেক্সপিয়র সরণি ও নন্দলাল বসু সরণির মোড়ে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই গাড়িতে ছিলেন দু’জন যুবক এবং এক তরুণী। প্রত্যেকেই পড়ুয়া। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানায়, সকলেই মত্ত অবস্থায় ছিলেন। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি থেকে একটি মদের বোতলও মিলেছে। তদন্তকারীরা জানান, সোমবার রাত ১১টা নাগাদ ক্যামাক স্ট্রিটের একটি পানশালা থেকে বেরিয়ে আলিপুর ও গল্ফ গ্রিনের বাড়িতে ফিরছিলেন তিন জন। গাড়িটি কলামন্দিরের দিক থেকে ময়দানের দিকে যাচ্ছিল। শেক্সপিয়র সরণি ও নন্দলাল বসু সরণির মোড়ে সেটি গার্ডরেলে ধাক্কা মেরে ফুটপাতে উঠে একটি চশমার দোকানে ধাক্কা মারে। গাড়ির গতি এতটাই বেশি ছিল যে, ধাক্কার অভিঘাতে সেটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার মুহূর্তে গাড়ির সামনের আসনে থাকা দু’টি ‘এয়ার ব্যাগ’ খুলে যাওয়ায় বড় বিপদ ঘটেনি চালক-সহ যাত্রীদের। রাতেই খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তিন জনকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, চশমার দোকানটির ডান দিকের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দোকানের এক কর্মী বলেন, ‘‘সকালে দোকান খুলতে এসে দেখি, এই অবস্থা। স্থানীয় এক জনের থেকে শুনি, গাড়ির ধাক্কায় এমন ঘটেছে।’’ ওই দোকানের তরফে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। যদিও সোমবার রাতেই শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ বেপরোয়া গাড়ি চালানোর অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িটির গতি যথেষ্ট বেশি ছিল। সেটি কয়েকটি সিগন্যালও মানেনি। ঘটনাস্থল সাউথ ট্র্যাফিক গার্ডের অধীনে। সোমবার দুর্ঘটনার পরেই সেখানে পৌঁছয় ওই ট্র্যাফিক গার্ডের পুলিশ। গাড়িচালক রোহন গুপ্তকে ধরা হলেও এ দিন জামিন পান তিনি। গাড়িটি আটক করেছে পুলিশ।