—প্রতীকী চিত্র।
শহরের রাস্তায় বেপরোয়া যানের দাপট যেন কমছেই না। এর জেরে রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত তিনটি পৃথক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। আহত হয়েছেন এক জন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল সাতটা নাগাদ ই এম বাইপাসের পরমা আইল্যান্ডের কাছে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। বেলুড়-গড়িয়া রুটের একটি বেসরকারি বাস একটি মোটরবাইকে ধাক্কা মেরে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। বাসের ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়েন বাইকের চালক এবং আরোহী। দু’জনের হেলমেট পরা থাকলেও তাঁদের শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত লাগে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান প্রগতি ময়দান থানার পুলিশকর্মীরা। সেখানে সকাল ১০টা নাগাদ মৃত্যু হয় বাইক-আরোহীর। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর নাম সৌভিক দাস (২১)। আদতে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা ওই যুবক তিলজলা এলাকায় বাবার সঙ্গে ভাড়া থাকতেন। সল্টলেকের একটি বেসরকারি কলেজে ব্যাচেলর অব বিজ়নেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। সৌভিকের বাবা পেশায় রেলকর্মী। জানা গিয়েছে, এ দিন বন্ধুর সঙ্গে সকালে বেরিয়েছিলেন সৌভিক। তাঁর বন্ধু এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অন্য দিকে, রবিবার রাত আড়াইটে নাগাদ বড়বাজার থানা এলাকার মহাত্মা গান্ধী রোডে ট্যাক্সির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক পথচারীর। গুরুতর আহত অবস্থায় বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তিকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই সোমবার ভোরে তিনি মারা যান। তবে মৃতের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ট্যাক্সিটি চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। ওই রাতেই ৯টা নাগাদ কালীঘাট থানা এলাকার হাজরা রোডে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় বছর ৭০-এর এক বৃদ্ধের। তাঁর নাম মনোতোষ রায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সোমবার সকালে সেখানেই মারা যান বৃদ্ধ। লরিচালককে আটক করেছে কালীঘাট থানার পুলিশ।