প্রতীকী ছবি।
বিটি রোডের ধারে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল লরিটি। পুলিশ দেখে, কেবিনে বসে চালক। কিন্তু তাঁকে লরি সরানোর কথা বলা হলেও হেলদোল নেই। আরও সামনে যেতেই দেখা যায়, ওই যুবকের গলায় কাপড়ের পাড়ের ফাঁস লাগানো!
পুলিশ জানায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর খড়দহের ওই ঘটনায় মৃতের নাম আসিফ আলি (২২)। তাঁকে খুনের অভিযোগে দুই আত্মীয় ও এক পরিচিতকে বুধবার গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম মহম্মদ নাসিম, মহম্মজ রিয়াজউদ্দিন এবং মহম্মদ নবাব। তাদের কামারহাটি, ঘোলা ও রহড়া থেকে ধরা হয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, পুরনো শত্রুতার প্রতিশোধ নিতে এই খুন। ব্যারাকপুরের ডিসি (সেন্ট্রাল) আমনদীপ সিংহ বলেন, ‘‘একের পর এক সূত্র একত্রিত করেই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
পুলিশ জানায়, বিটি রোডের ধারে ফাঁকা লরিতে চালকের দেহ উদ্ধার হওয়ায় সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। কারণ, দুষ্কৃতীরা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ওই কাজ করলে চালকের দেহ রাস্তায় বা অন্যত্র ফেলে লরি নিয়ে পালাত। এ ক্ষেত্রে টাকাপয়সা, চালকের মোবাইল কিছুই খোয়া যায়নি। এমন ঘটনা এক জনের পক্ষে ঘটানো অসম্ভব বলে মনে হয়েছিল তদন্তকারীদের। এর পরেই আসিফের মোবাইল ঘেঁটে কয়েকটি নম্বর পায় পুলিশ। ঘটনার আগে ও পরের কিছুটা সময় ওই সব ফোন নম্বরের টাওয়ার লোকেশন পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেগুলি বিটি রোডের ওই ঘটনাস্থলে ছিল।
জেরায় ধৃতেরা খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশের। জানা গিয়েছে, আসিফের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরেই পারিবারিক অশান্তি চলছিল দুই আত্মীয় নাসিম ও রিয়াজউদ্দিনের। টাকা ধার দেওয়া নিয়েও নবাবের সঙ্গে ঝামেলা ছিল। তাই তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করে তিন জন আসিফের লরিতে উঠেছিল। পথে লরি দাঁড় করাতে বলায় তা রাস্তার এক পাশে নিয়ে যান আসিফ। সেই সময়েই পিছন থেকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় তাঁকে।