—প্রতীকী ছবি।
খাস কলকাতায় রাস্তা থেকে অপহরণ। বিভিন্ন ফোন নম্বর ব্যবহার করে অপহৃতের পরিবারের কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করার অভিযোগ উঠল কলকাতার তিলজলায়। এমন অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নেমে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় অপহৃত যুবককে দিঘা থেকে উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশ। অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারও হয়েছেন তিন জন।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে তিলজলা থালায় অপহরণের অভিযোগ দা়য়ের করেন আনন্দপুর থানার এলাকার উত্তর পঞ্চান্নগ্রামের বাসিন্দা আরিফ মহম্মদ নামে এক যুবক। আরিফের পৈতৃক বাড়ি নদিয়ায়। পুলিশের কাছে তাঁর অভিযোগ, তাঁর কাকা রাজমুল শেখ ওরফে রাজুকে তিলজলার একটি রেস্তরাঁর পাশের সার্ভিস রোড থেকে অপহরণ করা হয়েছে। যুবক জানিয়েছিলেন, ওই রাস্তার উপরেই নিজের গাড়িতে ছিলেন রাজু। সেই সময় একটি ছোট চারচাকার গাড়িতে করে ছ’-সাত অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি এসে তাঁর কাকাকে অপহরণ করেন। গাড়িটিও তাঁরা নিয়ে যান। তার পর থেকেই শুরু হয় একাধিক নম্বর থেকে ফোন করে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের দাবি। সেই সঙ্গে ক্রমাগত হুমকি, যাতে পুলিশকে খবর না দেওয়া হয়।
তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, অপহরণকারীদের ভয়েই অভিযোগ জানাতে দেরি করেছেন অপহৃতের পরিবার। শুক্রবার তাদের থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্তে নামে তিলজলা থানার পুলিশ এবং লালবাজারের গোয়েন্দা দফতরের গুন্ডাদমন শাখা। রাজুকে অপহরণের পর কোন রাস্তা দিয়ে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা জানতে খতিয়ে দেখা হয় সিসিটিভি ফুটেজ। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, এর মধ্যেই অপহরণকারীরা রাজুর বাড়িতে ফোন করে মুক্তিপণের বিপুল টাকা দিঘা পৌঁছে দিতে বলে। এর পরেই কলকাতা পুলিশের একটি দল দিঘার উদ্দেশে রওনা হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় রাজুকে উদ্ধার করে।
লালবাজারের সূত্র জানিয়েছে, অপহরণের অভিযোগে যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের নাম— মোখতার মহম্মদ (৩৪), আলকাস খান এবং মাসিউর খান। ধৃতদের মধ্যে আলকাস মূল অভিযুক্ত। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। অপহৃতের গাড়িটিও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।