—প্রতীকী চিত্র।
পুজোর মধ্যে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে মধ্য কলকাতার পাঁচটি ছিনতাইয়ের ঘটনার কিনারা করল হেয়ার স্ট্রিট থানা। ছিনতাই হওয়া মোবাইল কেনার অভিযোগে আরও এক জনকে গ্রেফতার করে চারটি মোবাইল উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মইনুদ্দিন মোল্লা ওরফে বান্টি এবং মহম্মদ কামরান ওরফে আমন। ছিনতাই চক্রের আর এক পান্ডা পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবর মাসের প্রথম পর্যন্ত হেয়ার স্ট্রিট থানার ব্রেবোর্ন রোড সংলগ্ন এলাকায় মোবাইল ছিনতাইয়ের কয়েকটি ঘটনা ঘটে। তদন্ত শুরু করে পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে দেখতে পায়, দু’জন যুবক বিশেষ একটি মডেলের মোটরবাইক নিয়ে রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ওই এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাতে ফাঁকা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কেউ কথা বললে তারা মোটরবাইককে চেপে এসে সেই মোবাইলটি ছিনিয়ে হাওড়ার বাঁকড়া বা বন্দর এলাকার দিকে পালাচ্ছে। কিন্তু, হেলমেট থাকায় দুষ্কৃতীদের মুখ দেখা যাচ্ছিল না। এক তদন্তকারী জানান, মোটরবাইকটির মডেলের নম্বরে খোঁজ করে জানা যায়, সেটি ব্যবহার করছে বাঁকড়ার বাসিন্দা এক ব্যক্তি। সে-ই বন্দরের নাদিয়াল এলাকায় সম্প্রতি বাড়ি ভাড়া নিয়েছে। গত সপ্তাহে ওই বাইকের মালিক বান্টিকে ধরা হয়। জেরায় সে দাবি করে, মোবাইলগুলি বাঁকড়ার বাসিন্দা আমনকে বিক্রি করেছে।
তদন্তকারীরা জানান, বান্টি আরও কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তবে, তার সঙ্গী শাহরুখ পলাতক। তাকে ধরা গেলে বাকি ছিনতাইয়ের কিনারা করা সম্ভব হবে বলে দাবি পুলিশের। বান্টি আপাতত পুলিশি হেফাজতে আছে। পুলিশ জানায়, ছিনতাই করা মোবাইলগুলি বাংলাদেশে পাচার করা হত। কতগুলি মোবাইল পাচার করা হয়েছে, সেই খোঁজ চলছে।