—প্রতীকী চিত্র।
পর্ণশ্রীর একটি আবাসনে এক কনস্টেবলের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় দুই পুলিশকর্মীকে ক্লোজ় করা হয়েছে। সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের ওয়্যারলেস ব্রাঞ্চের ওই দু’জনের নাম সুইসাইড নোটে লিখে রেখে গিয়েছিলেন ওই আত্মঘাতী কনস্টেবল। তবে ওই নোটে যে অভিযোগ তিনি করেছিলেন, তার কোনও সারমর্ম নেই বলেই লালবাজার দাবি করেছে।
মঙ্গলবার বিকেলে পর্ণশ্রী থানা এলাকার গোপাল মিশ্র রোডের একটি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় পুলক ব্যাপারি (৩৫) নামে এক পুলিশকর্মীর দেহ। নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে জানা যায়। লালবাজার সূত্রের খবর, ঘটনার দিন কোনও ডিউটি ছিল না পুলকের। তা সত্ত্বেও তাঁর নামে কী ভাবে সার্ভিস রিভলভার ইস্যু করা হয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। কলকাতা পুলিশের এক জন ডিসি-কে ওই তদন্ত করতে বলা হয়েছে। এক পুলিশকর্তা জানান, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, সার্ভিস রিভলভার ইস্যু করার ক্ষেত্রে পুলিশকর্মীদের গাফিলতি রয়েছে। তাই পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে ওই তদন্তভার ব্যাটেলিয়নের এক জন ডিসি-কে দেওয়া হয়েছে।
এখনও ওই কনস্টেবলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় কোনও মামলা রুজু হয়নি। মৃতের স্ত্রী বা পরিবারের অন্য সদস্যেরা কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। তবে লালবাজার জানিয়েছে, ওই পুলিশকর্মী তাঁর সুইসাইড নোটে দুই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ছুটি না দেওয়ার যে অভিযোগ করেছেন, তা ভিত্তিহীন। কারণ হিসাবে লালবাজার জানিয়েছে, পুলক গত ৮ ডিসেম্বর ছুটি নিয়েছিলেন। ১২ ডিসেম্বর কাজে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও ২৯ জানুয়ারি কাজে যোগ দেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, পুলিশকর্তাদের দাবি, প্রতি মাসে কমপক্ষে গড়ে ১০-১২ দিন ছুটি নিয়েছেন ওই পুলিশকর্মী। এমনকি, ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসে কাজে যোগ না দেওয়ার সময়েও তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন সুইসাইড নোটে নাম থাকা এক পুলিশকর্মী। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানান, পুলকের অনেক টাকা দেনা হয়েছিল। তা নিয়েও চাপে ছিলেন তিনি।