বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে তিনটি দুর্ঘটনা ঘটে। প্রতীকী ছবি।
শহরে তিনটি পৃথক দুর্ঘটনায় এক মহিলা-সহ দুই ব্যক্তির মৃত্যু হল। আহত হয়েছেন আরও দু’জন। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে তিনটি দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশি সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে বেহালায় গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক তরুণীর। মৃতার নাম মৌলি অধিকারী (২৩)। তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের মঠচণ্ডীপুরের বাসিন্দা। কলকাতায় একটি নার্সিং কলেজে পড়াতেন মৌলি। থাকতেন যাদবপুরে। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বেহালায় এক বন্ধুর বাড়িতে যান। এ দিন সেখান থেকে অ্যাপ-বাইকে চেপে কলেজে যাচ্ছিলেন। বেহালার এস এন রায় রোডে জেমস লং সরণির দিক থেকে আসা একটি কংক্রিট মিক্সচারের গাড়ি বাইকে ধাক্কা মারলে ছিটকে পড়েন মৌলি। বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তাঁর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। বাইকচালক অ্যান্টনি চক্রবর্তী আহত হলেও তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, ওই ধরনের ভারী গাড়িগুলি বেপরোয়া ভাবে চলাচল করে। এ দিন অ্যাপ-বাইকটির গতি বেশি ছিল না। বেপরোয়া ভাবে এসে গাড়িটিই ধাক্কা মারে বাইকে। গাড়িচালক লালজি চৌহানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনার দু’ঘণ্টা পরে পর্ণশ্রী থানা এলাকার রবীন্দ্রনগরে মোটরবাইকের ধাক্কায় আহত হন এক মহিলা পথচারী। তাঁকে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মোটরবাইকের চালকও আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার রাতে উল্টোডাঙায় চলন্ত বাসে উঠতে গিয়ে পড়ে আহত হন এক ব্যক্তি। তাঁকে মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। রাতে সেখানে মারা যান তিনি। মৃতের নাম বিমলচন্দ্র বসাক (৬৫)। তাঁর বাড়ি মধ্যমগ্রামে। পুলিশি সূত্রের খবর, হাওড়া থেকে বারাসতমুখী একটি বেসরকারি বাসে উঠতে যান বিমল। সেই সময়ে পা পিছলে ওই বাসটিরই নীচে পড়ে যান তিনি। পুলিশ বাস-সহ চালককে আটক করেছে।