প্রতীকী ছবি।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিধাননগর পুরসভার দত্তাবাদ এলাকায় রবিবার এক প্রৌঢ় এবং এক প্রৌঢ়ার মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে বিধাননগর পুর এলাকায় করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৬। তার মধ্যে দত্তাবাদেই মৃত্যু হল ছ’জনের। তাই এ দিন দত্তাবাদে ফের করোনায় মৃত্যু চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসনের।
যদিও এখনও হুঁশ ফেরেনি দত্তাবাদের বাসিন্দাদের। প্রতিদিনই নিয়ম ভাঙার ছবি দেখা যাচ্ছে ওই এলাকায়। সচেতনতা প্রচার বা পুলিশের কড়াকড়ির পরেও অনেকেরই যে হুঁশ ফিরছে না, তা স্বীকার করছেন বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্মল দত্তের কথায়, ‘‘এত লোক আক্রান্ত হচ্ছেন, মৃত্যু বাড়ছে। তার পরেও স্থানীয়দের একাংশ সচেতন নন।’’
যদিও দত্তাবাদের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ওই ঘিঞ্জি এলাকায় স্বল্প পরিসরে বহু মানুষ বসবাস করেন। রুটিরুজির টানে বাইরে যেতে হয় অনেককে। এ ছাড়া গরমে ওই ঝুপড়ি বা টালির ঘরে একটানা বন্দি হয়ে থাকাও কষ্টকর। এই বাস্তব পরিস্থিতিও বিবেচনার প্রয়োজন।
এ দিন পর্যন্ত বিধাননগর পুর এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার পেরিয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ১৭৮২ জন। দত্তাবাদ এলাকায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯০। পুরসভা সূত্রের খবর, সল্টলেক ও রাজারহাটে দু’টি করোনা পরীক্ষাকেন্দ্রে দৈনিক ১০০ জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, দত্তাবাদে সংক্রমণের হার বা মৃত্যুর ঘটনা সম্প্রতি কিছুটা কমেছিল। কিন্তু ফের তা বাড়তে শুরু করেছে। মেয়র পারিষদ প্রণয় রায় জানান, দত্তাবাদ-সহ কিছু পিছিয়ে পড়া এলাকায়, যেখানে ঘেঁষাঘেঁষি করে বসবাস করেন অনেকে, সেখানে তাঁদের ঘরবন্দি করে রাখাটা কঠিন। সচেতনতা প্রচার আর পরীক্ষা করানো ছাড়া অন্য কোনও বিকল্প নেই। সেই চেষ্টা চলছে।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)