প্রতীকী ছবি
গভীর রাতে পেট্রল পাম্পে ঢুকে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল এক দল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। যদিও কর্মীদের সতর্কতায় তারা ক্যাশ বাক্সে হাত দিতে পারেনি বলে জানিয়েছেন পাম্পের মালিক। অভিযোগ, ঘটনার সময়ে তিনি বার বার নিউ আলিপুর থানায় ফোন করেও সাড়া পাননি। শেষে লালবাজার কন্ট্রোল রুমে ফোন করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। হামলার এই ঘটনায় পাম্পের দুই কর্মী জখম হয়েছেন। এক জনের মাথায় ও অন্য জনের ঘাড়ে চোট লেগেছে। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হামলাকারীদের দু’জনকে অবশ্য হাতেনাতে ধরা হয়েছে।
তারাতলা মোড়ের কাছে ওই পেট্রল পাম্পের মালিক তথা ডিলার শিবাশিস চট্টোপাধ্যায় জানান, পাম্পটি ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকত। কিন্তু লকডাউন চলায় এখন রাত ১০টায় বন্ধ করা হয়। কর্মীরা সেখানেই থেকে যান। সোমবার রাত ১টায় বন্ধ পেট্রল পাম্পে আচমকা চার জন ঢুকে পড়ে ভাঙচুর শুরু করে। অভিযোগ, তারা সকলেই মত্ত অবস্থায় ছিল। শিবাশিসবাবু বলেন, ‘‘ওই সময়ে ১২-১৪ জন কর্মী ছিলেন। ভাঙচুর করতে দেখে কয়েক জন ক্যাশ বাক্সের জায়গাটি বন্ধ করে পাহারা দিতে থাকেন। বাকিরা হামলাকারীদের আটকাতে চেষ্টা করেন।”
উপস্থিত কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে মালিককে ফোন করেন। শিবাশিসবাবু মোবাইল থেকে পেট্রল পাম্পের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখেন, পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। এর পরেই প্রথমে নিউ আলিপুর থানায় ফোন করেন তিনি। সাড়া না পেয়ে লালবাজার কন্ট্রোল রুমে ফোন করে গোটা বিষয়টি জানিয়ে পেট্রল পাম্পের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন। তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন, পুলিশ কয়েক জনকে ভ্যানে তুলছে। শিবাশিসবাবু আরও জানান, কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে ওই দুষ্কৃতীরা স্থানীয় বস্তির বাসিন্দা। কয়েক মাস আগে পাম্পে এসেছিল খুচরো চাইতে। সেটা পায়নি। তাঁর কথায়, ‘‘ওই রাগ মেটাতেই হামলা চালিয়েছিল বলে অনুমান। ওরা খালি হাতে ছিল। অস্ত্র নিয়ে এলে কী হত!’’
নিউ আলিপুর থানা সূত্রের খবর, ওই থানার ল্যান্ডফোনটি খারাপ। তবে লালবাজার থেকে খবর আসতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলাকারীদের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।