ধর্ষণের দু’টি ঘটনায় যাবজ্জীবন দুই অভিযুক্তের

আদালত সূত্রের খবর, ক্যানিংয়ের বাসিন্দা ওই দুই কিশোরীর এক জন ২০১৩ সালের জুন মাসে থানায় এসে সৎবাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৯ ০২:৫১
Share:

প্রতীকী ছবি।

দুই কিশোরীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত সৎবাবাকে পকসো আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন আলিপুরের বিশেষ আদালতের বিচারক সোনিয়া মজুমদার। শুক্রবার ওই নির্দেশ দেন তিনি। পেশায় রাজমিস্ত্রি ওই ব্যক্তির ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন বিচারক।

Advertisement

আদালত সূত্রের খবর, ক্যানিংয়ের বাসিন্দা ওই দুই কিশোরীর এক জন ২০১৩ সালের জুন মাসে থানায় এসে সৎবাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করে। অভিযোগ পাওয়ার পরে ওই কিশোরীদের শিশু সুরক্ষা কমিশনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ১৩ ও ১৬ বছরের দুই বোনকে লাগাতার ধর্ষণ করত ওই ব্যক্তি।

ওই দুই নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়। তাদের গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হয়। আদালত সূত্রের খবর, ২০১২ সালে ওই দুই কিশোরীর বাবা মারা যান। পরের বছর তাদের মা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তিনি মেয়েদের বাড়িতে রেখে পরিচারিকার কাজ করতেন। সেই সুযোগই কাজে লাগায় অভিযুক্ত। সরকারি আইনজীবী রাধাকান্ত মুখোপাধ্যায় ও মাধবী ঘোষ বলেন, ‘‘অভিযুক্ত জামিনে ছিল। এ দিন ফের তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

অন্য দিকে, সতেরো বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে শুক্রবার যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দিলেন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক জীমূতবাহন বিশ্বাস।

সরকারি কৌঁসুলি লিলি কুমার জানান, ওই কিশোরী গত মার্চ মাসে অভিযোগ করে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছ’মাস ধরে তার সঙ্গে সহবাস করেছে বেলগাছিয়ার বাসিন্দা ওই যুবক। ১৫ জুলাই পুলিশ বেলগাছিয়া থেকে গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে। বিচার চলাকালীন মেয়েটি সাক্ষী দিতে এসে জানায়, সে মামলা তুলে নিতে চায়, কারণ ওই যুবকের সঙ্গে ইতিমধ্যে তার বিয়ে হয়েছে। দুই পরিবারের সম্মতিও রয়েছে। কিশোরী আরও জানায়, সে অন্তঃসত্ত্বা।

ওই যুবকের আইনজীবী মহম্মদ ফিরোজ হোসেন এ দিন জানান, নিম্ন আদালতের বিচারে তাঁর মক্কেল সন্তুষ্ট নন। তিনি কলকাতা হাইকোর্টে আপিল মামলা করবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement