ফাইল চিত্র।
কলকাতা পুরসভায় এ বার থেকে বিনামূল্যে মিউটেশনের আবেদন করা যাবে। ২০২১-’২২ অর্থবর্ষে পুরসভার ১৬১ কোটি টাকার ঘাটতি বাজেট পেশ হল শনিবার। সেই উপলক্ষেই এই ঘোষণা করেন পুর কর্তৃপক্ষ। গত ফেব্রুয়ারিতেই প্রথম ছ’মাসের জন্য প্রায় ৮৫ কোটি টাকার অন্তর্বর্তী ঘাটতি বাজেট পেশ করেছিলেন প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম।
এ দিন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বোর্ড ভোট অন অ্যাকাউন্টস বাজেটের প্রস্তাব গ্রহণ করে। ফিরহাদ বলেন, ‘‘কোভিডের জন্য পুর নির্বাচন না হওয়ায় অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করা হয়েছিল। এখনও ভোট না হওয়ায় বাধ্য হয়ে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হল। নয়তো বছরের শেষে হিসেব মেলাতে সমস্যা হচ্ছিল।’’
এ বারের বাজেটে ৪০৫০ কোটি ৫ লক্ষ টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। ৪২১১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ের লক্ষ্যও ধার্য হয়েছে। পুরভবনে বাজেট পেশ করে প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘পুরকর এবং বিভিন্ন চার্জ ও রেট অপরিবর্তিত থাকবে। টালিগঞ্জ, যাদবপুর এলাকায় পানীয় জলের জন্য ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই ফিরহাদকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টালিগঞ্জ, যাদবপুর এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হতে বলেছিলেন। স্বাস্থ্য, জঞ্জাল অপসারণ, নিকাশি, রাস্তা, শিক্ষা, পরিবেশ, বাজার দফতরের বরাদ্দ আগের বছরের মতোই থাকছে।
বাজেট পেশের পরে প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘এত দিন শহরবাসীকে মিউটেশনের সময়ে প্রসেসিং ফি এবং সার্টিফিকেট ফি বাবদ একশো টাকা করে মোট দুশো টাকা দিতে হত। এ বার থেকে ওই টাকা আর দিতে হবে না।’’
এ দিকে, কোভিড পরিস্থিতির জন্য পুরসভার কোষাগারের অবস্থা খারাপ। বিরোধীদের দাবি, সেই সঙ্কট পুরসভা কী ভাবে মোকাবিলা করবে, তার কোনও দিশা নেই এই বাজেটে। এ দিন এক প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ বলেন, ‘‘তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় প্রস্তুত পুরসভা। ইতিমধ্যেই অহীন্দ্র মঞ্চে পুর চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পুরসভার সেফ হোমগুলিকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’’